ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১
সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ

চেয়ারম্যান এসকেন্দারের ইন্ধনে শিবগঞ্জের মাঝিহট্টর শান্ত গ্রাম আবারও অশান্ত হয়ে উঠছে

বগুড়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৬ জুন ২০২২ ০৭:৪৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

হত্যা মামলার আসামী শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসকেন্দার আলী শাহানা ও তার লোকজন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আবারও বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। হত্যা মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের নানা ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে গত ১৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে সোয়া শতক জায়গা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে খুন হওয়া যুবলীগ নেতা বজলুর রশিদ বুলুর স্ত্রী মোছাঃ বুলবুলি এ অভিযোগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, একই দিন হামলাকারীরা আমার দেবর জামাতুল ইসলাম (দুদু) মোঃ বাদশা মন্ডল, সাইদুর সরকার, ভাতিজা মিটু প্রাং, আকাশ সোনার, সুমন সরকার ও ছেলে মিনহাজ¦ সাকিদার গুরুতর আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরবর্তীতে ১৯ এপ্রিল শিবগঞ্জ থানায় ৩৭জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলা থানায় রেকড হওয়ার পর থেকে আসামীরা গাঢাকা দেয়। এই সুযোগে বিক্ষুদ্ধতা জনতা আসামীদের বাড়িঘর ভাংচুর করে। সুযোগ বুঝে অনেকে লুটপাটও করেছে। তখন তারা হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন ছিল বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।

আসামীরা পলাতক থাকা অবস্থায় সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন লাভ করেন। পরবর্তীতে এলাকা যখন শান্ত ঠিক সেই সময় চেয়ারম্যান এসকেন্দার আলী শাহানার পরামর্শে এলাকায় এসে খেউনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষে অবস্থান নেন। গত ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত কোন কারণ ছাড়াই তারা ওই স্কুলে অবস্থান নেন। তিনি জানান, দু’একটি পত্রিকায় ৩৭টি পরিবার ৪০দিন যাবত স্কুলে অবস্থান করেছে এটা ডাহা মিথ্যা কথা। বরং তারা এলাকায় এসে মামলার বাদীসহ স্বাক্ষী ও আত্মীয় স্বজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। খুন জখমসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। হত্যা মামলার বাদীসহ স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে দুপচাচিয়া উপজেলার বড়ধাপ গ্রামের জিল্লুর রহমানকে দিয়ে ১৪৩, ১৪৮, ৩২৩, ৩৮০ ও ৪১৭ ধারায় মামলা দায়ে করেছে। এই মামলায় বর্তমানে আমরা জামিনে রয়েছি। এছাড়া আরো ৩টি মামলা করেছে শুধুমাত্র প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আমার স্বামীর হত্যার আগের দিন রাতে চেয়ারম্যান এসকেন্দারের বাসভবনে হত্যা পরিকল্পনা করা হয়। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তিনি শিবগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মামলাটি দ্রুত তদন্ত করে চার্জশিট দেওয়ার জন্য দাবি জানান।

তিনি আরো বলেন, দু’মাস পলাতক থাকার পর জামিন পাওয়ার পর বাড়িতে না গিয়ে স্কুলে অবস্থান নেওয়াও একটি নীল নক্সা। মানুষের সহানুভূতি পেতে এটা একটা নাটক। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের কাছে যেন আমার স্বামী হত্যার বিচার পরাভূত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে তিনি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।