টাঙ্গাইলে প্রথমদিনেই বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৭টি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটিকে জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ মে) দিনব্যাপী স্বাস্থ্য অধিদফরের নির্দেশনায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ এ অভিযান পরিচালনা করে।
জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সুপারভিশন ও মনিটরিং বিষয়ে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠা অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। অভিযানের প্রথমদিনে টাঙ্গাইল শহরে চারটি, মধুপুর উপজেলায় দুইটি, ভূঞাপুরে দুইটি, মির্জাপুরে দুইটি, ঘাটাইলে একটি ও গোপালপুরে পাঁচটি অনিবন্ধিত ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলীম আল রাজী জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের ৭২ ঘন্টা সময়সীমা বেধে দেয়ার প্রথমদিনেই এ উপজেলায় পরিচালিত অভিযানে সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ছয়টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। এ উপজেলার সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো হলো, চাতুটিয়া রোকেয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাজ্জাক ডেন্টাল ক্লিনিক, ঝাওয়াইল বাজারের ইমরান ডেন্টাল কেয়ার, সন্ধ্যা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ডেন্টাল ক্লিনিক, হক ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল ও হেমনগরের নিরাময় ক্লিনিক।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন জানান, বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় শহরের পদ্মা ডিজিটাল ক্লিনিক, আমানত ক্লিনিক এন্ড হসপিটাল এবং স্বদেশ ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার তাৎক্ষনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়ে সিলাগালা করে দেয়া হয়। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় দি সিটি ক্লিনিক ২০ হাজার টাকা, কমফোর্ড হাসাপাতালকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা এবং ডিজিল্যাব ক্লিনিককে ৩০হাজার টাকা জরিমানাসহ আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এরপর সেটিও সিলগালা করা হবে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, ‘বৈধ কাগজপত্র না থাকায় প্রথমদিনের অভিযানে টাঙ্গাইল সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ১৭টি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় আরও কয়েকটিকে জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’