টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৮ মে) ভোরে সিরাজগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ভূঞাপুর উপজেলার বানিয়াবাড়ি গ্রামের নাজমুল প্রধানের ছেলে প্রধান অভিযুক্ত ফারুক, একই গ্রামের মৃত রহিজের ছেলে প্রধান সহযোগি সোহেল প্রধান ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হোসেনপুর উত্তরপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে বিশাল। রোববার বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল।
মামলা ও স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া ও আসার পথে ফারুক বিভিন্ন সময়ে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব ও নানাভাবে উত্যক্ত করত। প্রতিবাদ করলে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়া হতো। গত ৫ মে (বৃহস্পতিবার) ঈদের তৃতীয় দিন সকালে স্কুলছাত্রী একা তার দাদার বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় ফারুক। ওই ছাত্রী প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফারুক তার দলবল নিয়ে অপহরণ করে। এরপর নৌকাযোগে প্রথমে সিরাজগঞ্জের তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে ফারুক। সেখান থেকে ফারুক আবার তার খালার বাসায় নিয়ে ফের ধর্ষণের পর শারীরিক নির্যাতন করে বিয়ের চাপ সৃষ্টি করে। এরপরও বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার সহযোগী অপহরণকারীর বাড়িতে সন্ধ্যার দিকে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে যায় ফারুক ও তার অন্যান্য সহযোগীরা।
বিষয়টি মেয়েটির বাবা জানতে পেরে ওইদিন (৬ মে) রাতেই ফারুকের ওই সহযোগী অপহরণকারীর বাড়ি থেকে আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় মাতাব্বরদের নিয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। পরে (৭ মে) শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ফারুককে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে রোববার ভোরে ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাহিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রধান অভিযুক্ত ফারুকসহ সহযোগি সোহেল প্রধান ও বিশালকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল জানান, অপহরণ ও ধর্ষণের প্রধান অভিযুক্ত ফারুক ও তার সহযোগি সোহেল প্রধান ও মো. বিশালকে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।