সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফএর গুলিতে আহত দেলোয়ার হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দেলোয়ার সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম বুরুঙ্গা ছড়ার আব্দুর রশীদের ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছোট ভাই আমির হোসেন ও সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান পিবিজিএম।
উল্লেখ, শুক্রবার দুপুরে উপজেলা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন বুরুঙ্গা ছড়া এলাকার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১১৯৯ পিলার বিএসএফের গুলিতে দেলোয়ার হোসেন এবং তাদের মারধরে হনুফা বেগম নামে এক বৃদ্ধা আহত হন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় বিজিবি টহল জোরদার করা হয়।
কোমরে গুলিতে আহত দেলোয়ার হোসেনকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে আধ ঘন্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক করে বিএসএফ ও বিজিবি। এর পর শনিবার বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশন এলাকায় বড়ছড়া আমদানী কারক সমিতির অফিসে দু দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে দুপুর ১২ থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত রুদ্ধদার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা বৈঠকে ভারতের মেঘালয় ষ্টেইটের শিলং-১৯৩ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ বড়ছড়া কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের কম্পানি কমান্ডার দিলীপ সিংসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং বাংলাদেশ পক্ষে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান পিবিজিএমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।
টেকেরঘাট (বিজিবি)’র কোম্পানী সদরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নায়েব সুবেদার জাফর আহমেদ জানান, ভারতের মেঘালয় ষ্টেইটের শিলং-১৯৩ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ বড়ছড়া কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের টহল দলে থাকা এক বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ১১৯৯ এর থ্রি-এস সাব পিলার সংলগ্ন জিরো লাইনে থাকা বাংলাদেশী নাগরিক দেলোয়ারেরতে লক্ষ্য করলে গুলি ছুড়লে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। একেই সময় অনুফা বেগম(৬৫)কে বিএসএফ বেধরক মাধধর করে গুরুত্বর আহত করে। বৈঠকে এর প্রতিবাদ জানানো হয়।
এসময় বিএসএফ জনায় বাংলাদেশীরা আর্ন্তজাতিক সীমান্ত পিলার অতিক্রম করেছে। এসময় গুলিতে ও মারধরে আহতের বিষয়ে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে বিএসএফ।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে আরও জানা যায়, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন কলাগাও, ঝঙ্গল বাড়ি, লালঘাট এলাকা দিয়ে প্রতিদিন রাতে ও দিনে প্রকাশ্যে সীমান্তের চিহ্নিত চোরাকারবারিরা পুলিশ, বিজিবি, কাস্টমস ও সাংবাদিকের নামে প্রতি বস্তা ৩০০ টাকা তুলে সীমান্তের সোর্স পরিচয় ধারী কয়েকজন ব্যক্তি।