ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ই কার্তিক ১৪৩১

দেশে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা: যুবদল সভাপতি

রিয়াদ হাসান | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:১৯:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার দেশে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে হিসেবহীন অপকর্ম করতে গিয়ে এখন ফ্যাসিষ্ট হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) যশোরের বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় ‘ধানের শীষ’ সম্বলিত লিফলেট এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ২৪'র গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট জালিম শাসকের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, এ ধরনের বর্বর, ফ্যাসিস্ট জালিম শাসককে আর কোনো দিন ক্ষমতায় দেখতে চায় না দেশের জনগণ।

আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে বিএনপির অগণিত নেতাকর্মীকে হামলা-মামলা, জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, এমনকি অসংখ্য নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। তবুও বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জনগণের অধিকার ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন থেকে পিছপা হয়নি। গত ১৮ বছরে দলের কোনো নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি, জনগণের সঙ্গেই ছিল। 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, দলের নিয়ম ভঙ্গ করলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দল ভারী করার জন্য ফ্যাসিস্টের দোসরদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আগামীতেও নেওয়া হবে। আপনাদের মানুষের পাশে ভালবাসার হাত প্রসারিত করে দাঁড়াতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে কাজ করতে হবে। আপনারা মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের জন্য কাজ করুন। মানুষের ভালোবাসা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুবদল সভাপতি বলেন, সব রাজনৈতিক, মিথ্যা ও সাজানো মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। 

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান যুবদল সভাপতি।

এসময় যশোর জেলা যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।