খাদ্যমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের কথা চিন্তা করেন। বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষদের নিয়ে ভাবেন তিনি। দেশ ও মানুষের জীবনের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী দেশের অনেক গৃহহীন ও সুবিধাভোগীদের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। ঠিকানাহীনদের স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন তিনি। একসাথে এত মানুষকে ঘরসহ জমিদান বিশ্বে অনন্য। নতুন ঘর গৃহহীন পরিবারে এনেছে ঈদের আনন্দ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারা দেশে একযোগে তৃতীয় পর্যায়ের ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাপাহার উপজেলার অমরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রাঙ্গণে জমি ও ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আগে এক আলোচনায় সুবিধাভোগীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এজন্য ঈদের আগেই গৃহহীন পরিবারে ঈদের আনন্দ পৌঁছে গেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনসাধারণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। উপকারভোগীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয় বাড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই এ দেশ এক দিন সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
তৃতীয় পর্যায়ে জেলার ১১টি উপজেলায় বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৫৪০টি। এরমধ্যে নওগাঁ সদরে ৬০টি, ধামইরহাটে ৪২টি, আত্রাইয়ে ৩২টি, বদলগাছীতে ৪৬টি, রাণীনগরে ৪১টি, পত্নীতলায় ৮১টি, মান্দায় ৫২টি, মহাদেবপুরে ৫২টি, নিয়ামতপুরে ৫৫টি, পোরশায় ৩৪টি এবং সাপাহারে ৪৫টি গৃহহীনদের ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘর বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এসব ঘরে বিদ্যুৎ, রাস্তা, স্যানিটারি, পানিসহ সব সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, সাপাহার উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সাহজাহান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম এবং শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন প্রমূখ।
সারাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপহার জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার পর নওগাঁয় উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ জেলায় জমিসহ গৃহ পাওয়ার তালিকায় রয়েছে- ভিক্ষুক, বেদে সম্প্রদায়ের লোক, প্রতিবন্ধী, ভ্যানচালক, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, ষাটোর্দ্ধ প্রবীণসহ অন্যান্য ভূমিহীনরা।