কুশিয়ারা নদীর পানি ডাইকের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারনে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে পানি ডুকে প্রবল বন্যার সৃষ্টি করেছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীন জনপদের রাস্তাঘাট।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর, মোস্তফাপুর,দক্ষিণ গ্রাম, প্রজাতপুর, লালাপুর, কইখাই, লতিবপুর, তপথিবাগ, মনসুরপুর, আগনা, নোয়াগাঁও, বাউর কাপন, রমজানপুর, ইনাতগঞ্জ বাজারসহ ৩০/৩৫ গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। দীঘলবাক ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই পানি প্রবেশ করেছে। তাছাড়া ইনাতগঞ্জ-সৈয়দপুর সড়কের মোস্তফাপুর থেকে পাঠানহাটি পর্যন্ত রাস্তায় বুক পানি।
ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল না করায় সারা দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ থেকে ইনাতগঞ্জ ভায়া ঢাকায় চলাচলকারী বিভিন্ন গাড়ি যাতায়াতও বন্ধ রয়েছে। গ্রামীন জনপদের চলাচলের যে রাস্তা রয়েছে। সব রাস্তাই পানির নীচে। কমর সমান পানি। ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্টান। ব্যবসায়ীরা সন্ধার আগেই দোকান বন্ধ করে বাড়ী যাচ্ছেন।
প্রতিটি ঘরে পানি। বানবাসি মানুষ গরু ছাগল নিয়ে নৌকায় নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন। হাজার হাজার মানুষ ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে আশ্রয় নিয়েছেন। মানুষ কতোটা অসহায় সে চিত্রই দেখা গেল সারাদিন ঘুরে।
ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া উমরপুর গ্রামের ফয়ছল মিয়া জানান, আমার ঘরে বুক পানি। শুধু আমার একা না। এমন দৃশ্য সবার ঘরে। আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই পানি প্রবেশ করেছে। সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছ। ইতিমধ্যে বন্যার্থদের মধ্য চাল বিতরণ করা হয়েছে। বানবাসী মানুষকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ,শুকনো খাবারসহ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে।