নড়াইলে প্রতিপক্ষের হাতুড়িপেটায় গুরুতর আহত কিশোর জুয়েল ভূঁইয়া (১৬) মারা গেছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জুয়েল নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের পান্নু ভূঁইয়ার ছেলে। রোববার সন্ধ্যায় তার দাফন হয়েছে।
জুয়েলের চাচাতো ভাই আল আমিন জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে সিকদার ও ভূঁইয়া বংশের মধ্যে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। ঘটনার দিন গত ৯ আগস্ট সকালে ভ্যানযোগে জুয়েল স্থানীয় মাদরাসা বাজারে যাওয়ার পথে বেতভিটা এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষের ইয়াসিন, ফিরোজসহ অন্তত ছয়জন তাকে হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। জুয়েলকে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তার মুত্যু হয়। জুয়েল মাদরাসা বাজারে সবজি দোকানের কর্মচারি ছিল। তার বাবা পান্নু ভূঁইয়া গরিব কৃষক। জুয়েল বেতভিটা বিবিএস দাখিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। আর্থিক অনটনের কারণে পড়ালেখা বাদ দিয়েছে।
এদিকে জুয়েলের মৃত্যুর পর আসামিপক্ষের ২০টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্ব) মাহমুদুর রহমান জানান, জুয়েলের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুদ্ধরা কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এছাড়া আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটায় এবং সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ায় ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে জুয়েলের ওপর হামলার ঘটনায় তার চাচা বাদি হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আর জুয়েলকে মারধরের মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে চারজন জামিনে এবং একজন কারাগারে আছেন।