বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়নে শুক্রবার রাতে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে হামলায় আব্দুল হান্নান(৩৯) নামে পল্লী বিদ্যুত সমিতির এক কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পল্লী বিদ্যুত সমিতির অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। এঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের এজিমসহ ৬ জন মারপিটে আহত হন। এঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে।
পল্লী বিদ্যুত সমিতি ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনালা অফিস রয়েছে। এর আওতায় পাশর্বতী আটমুল ইউনিয়নয়নসহ আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ হয়। পল্লী বিদ্যুত সমিতি জানতে ভাইয়েরপুকুর এলাকায় অবৈধ ভাবে বিদ্যুত ব্যবহার হচ্ছে। এতে সাবজোনাল অফিসের এজিম রাকিবুজ্জামানসহ পল্লী বিদ্যুতের ৭ জনের একটি টিম রাত ১১টার দিকে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যান। পল্লী বিদ্যুতর এই টিম ভাইয়েরপুকুর বাজারের পাশে আবু সাঈদ ও আব্দুল হালিম নামে দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে অবৈধ ব্যবহারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লোকজন তাদের ঘিরে ধরে মারপিট ও আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটন্থালে গিয়ে প্রথমে ৬ জনকে উদ্ধার করলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যাওয়া টিমের সদস্য অফিস সহকারী আব্দুল হান্নান একজন নিখোঁজ ছিলেন। পরে পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মীরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দুরে এক ধান ক্ষেতে তাকে পায়। তাকে উদ্ধার করে রাত ৩ টার দিকে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়ার হলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাক মুখে রক্ত ছিলো। হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সে দৌড়ে যাওয়ার চেস্টা করছিলো। বগুড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম মোঃ মনির উদ্দিন মজুমদার জানান, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যায়া টিমের সদস্যদের ওপর হামলা ও মারপিটে এক জন মারা যান। অপর সদস্যরাও আহত হয়েছেন। এব্যপারে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) জানান, ঘটনার পরের তারা সেখানে গিয়ে প্রথমে পল্লী বিদ্যুতের ৬ জনকে উদ্ধার করেন। পরে আরো একজনকে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ ব্যবহারকাীদের মধ্যে আবু সাঈদ ও রেজাউল নামে ২ব্যক্তিসহ মোট ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।