ঢাকা, মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম রোজা থেকেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে লেবু ,শসা গাজর, কলা ও মাছের

শ্রীপুর( গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ ০২:১৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর




গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রথম রোজার  থেকেই   দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি  । উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে বেগুন, শসা, লেবু, কলাসহ অন্যান্য কাঁচামালের দাম। তার সাথে বেড়েছে মাছের দামও । বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, শাক-সবজি থাকলেও রমজানের কারণে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পণ্যের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের অভিযোগ।

শুক্রবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুনের কেজি ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি ও লেবুর হালি ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কাচাঁ মরিচ ৮০টাকা থেকে ১২০টাকা গাজর ৫০টাকা থেকে ৮০টাকা ,কলা ৪০টাকা থেকে ৫০টাকা হালি  দরে বিক্রি হচ্ছে।  রোজায় এই সব পন্যের চাহিদা বেশি থাকার কারণে  ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

উপজেলা কাওরাইদ বাজারে যোগিরসিট গ্রামের লেবু চাষি আমিনুল বলেন, আমরা বাজারে ২০-২৫ টাকায় লেবু বিক্রি করছি। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে খুচরা বাজারে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারনেই বাজারে লেবুর দাম বাড়ছে। আমরা কম দামেই বিক্রি করছি। ফলে ক্রেতারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

 উপজেলার বরমী  ইউনিয়নের মরিচ চাষি কালাম বলেন, আমরা ক্ষেত থেকে প্রতি কেজি মরিচ ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। আর খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি করছেন।

উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আল আমিন বলেন, রমজানের কারণে বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে। যা কয়েকদিন আগেও বেশ কম ছিল। রমজানের কারণে বাজারে কাঁচাপণ্যের চাহিদা বেড়েছে, এ কারণে দামও কিছুটা বাড়তি।

উপজেলার জৈনার বাজার উপশহর মার্কেটে এলাকায় বাজার করতে আসা ক্রেতা রাহাত ও  আলম বলেন, রমজানের প্রথম দিনেই বাজার করতে এসে পণ্যের দাম বেশি দেখে মাথা ঘুরছে । বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও রমজান ঘিরে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কোনো কোনো পণ্যের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ছেন।

মাছ কিনতে বাজারে আসা আনোয়ার   নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে প্রথম রোজা থেকেই মাছের দাম বেশি থাকায় তিনি মাছ কিনতে অপরাপাতা প্রকাশ করছেন।  রুই মাছের কেজি ৪২০ টাকা, চিংড়ি ১ হাজার টাকা, বড় সাইজের কাতল ৪৫০ টাকা, ইলিশ মাছ ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ কিনতে বাজারে আসা আসাদ নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে রমজান উপলক্ষে প্রতিটি পণ্যের পাশাপাশি মাছের দামও বেড়েছে। সব ধরনের মাছের দাম প্রতি কেজি ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। স্থানীয়দের দাবি এসব পণ্যের বাজার শীঘ্রই উপজেলা প্রশাসনকে  মনিটরিং করার জন্য।