ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রাথমিকের স্থগিত বৃত্তির ফল বিকেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১ মার্চ ২০২৩ ১১:২২:০০ পূর্বাহ্ন | শিক্ষা

কারিগরি ক্রুটির কারণে স্থগিত হওয়া প্রাথমিকের বৃত্তির ফল বুধবার (১ মার্চ) বিকেলের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা পর্যন্ত কারিগরি ক্রুটিগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হয়েছে। এখন ফল প্রকাশের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি শেষ। 

অধিদপ্তর মহাপরিচালক সর্বশেষ যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে বিকেলের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিপিই’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. উত্তর কুমার দাশ বুধবার সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেসব সমস্যার কারণে ফল স্থগিত হয়েছিল, সব সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান হয়েছে। আশা করছি আজ বিকেলের মধ্যেই পুনরায় ফল প্রকাশ করতে পারবো।

তিনি বলেন, আগে ২০০৯ সালে সর্বশেষ এ ধরনের বৃত্তির ফল তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘ ১২ বছর পর এবার প্রায় একই ধরনের বৃত্তির ফল তৈরি হয়েছে। এবার বিষয়সহ বেশ কিছু জিনিস নতুনত্ব ছিল। এতে কোডিং সংক্রান্ত একটু সমস্যা তৈরি হয়েছিল, যা এরইমধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলে এ ধরনের সমস্যা হয়েছিল। সরকারি কর্মকমিশনের ফলে একবার এমন সমস্যা হয়েছিল। এ ধরনের সমস্যা সাময়িক বলেও জানান তিনি।

তার দাবি, এই প্রযুক্তিগত সমস্যা এর আগে কখনো হয়নি ডিপিই-তে। এটা আমাদের একটা লার্নিং। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করবে কমিটি।

এদিকে ঘটনা তদন্তে চায় সদস্যের কমিটিও কাজ শুরু করেছে। তারা এই ফল তৈরি সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কমিটির একজন সদস্য নাম না প্রকাশ শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে কারো গাফিলতি ছিল এরকম কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। এটা নিছক কারিগরি ত্রুটির কারণে হয়েছে। তিনি জানান, আজকের মধ্যে চেষ্টা করবো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে।

যেভাবে বৃত্তির ফল তৈরি হয়

ফল তৈরি সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানান, বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের পর জেলা শিক্ষা অফিসে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্রে কোড দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষকরা সেই খাতা মূল্যায়ন করেন। ফলে কার খাতা কোনটি তা বোঝা যায় না। কিন্তু মূল্যায়নের পর প্রাপ্ত নম্বর কোড অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বরে যোগ হয়। শেষের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিকোডিং। এই কোডিং এবং ডিকোডিং প্রক্রিয়ায় ভুল হয়েছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপাসহ কয়েকটি উপজেলায় সব শিক্ষার্থীকে একই কোড নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে ডিপিইর কম্পিউটার সেলে ধরা পড়েছে। এ কারণে সারা দেশের ফল পুনরায় যাচাই করার জন্য ফল স্থগিত করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। পরে সন্ধ্যায় বৃত্তির ফল স্থগিত করা হয়।