ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দীনের যৌন হয়রানি বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহকালে স্থানীয় চার সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া সাদ্দাম ফুলবাড়িয়া আবুল কালাম মাতুব্বরের ছেলে।
ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, গত রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের সিঁড়ির উপর থেকে এক ছাত্রের সাথে এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন শিক্ষকরা। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দীনের জিম্মায় রাখা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দীন তার কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। একপর্যায় ওই ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনার পর সোমবার সকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
খবর পেয়ে মানববন্ধনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সাদ্দাম হোসেনসহ কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী স্থানীয় সাংবাদিক শফিকুর রহমান জনি, লিয়াকত আলী, আজিজ ফকির ও আরিফুজ্জামান হিমনকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় ছিনিয়ে নেয়া হয় তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল। পরে ওই চার সাংবাদিককে একটি রুমের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
এ বিষয় ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দীন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এক ছাত্রের সাথে ওই ছাত্রীকের আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ওই ছাত্রীকে আমার কাছে নিয়ে আসে অন্য শিক্ষকরা। এ সময় ওই ছাত্রীকে শাসন করার পর সে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাটি মাঠের মধ্যে ঘটেছে। আমি তখন স্কুলের রুমে ছিলাম।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় লিয়াকত আলী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে