ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৬

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০১:৫৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় মহান শহীদ দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৬ জন। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণও ঘটে।

 

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। 

 

আহতরা হলেন—ছাত্রলীগ কর্মী ইরফান রেজা রুকু ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিনসহ ৬ জন। এরমধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী ইরফান রাজা রুকুকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে শহরের সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। এ সময় তারা শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কলেজের পেছনের গেট দিয়ে স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে যান। এ সময় কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও স্লোগান দিতে থাকে। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা কলেজের পেছনের সড়কে চলে গেলে তাদের উপর ইট-পাটকেল ছোঁড়া শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিপরীত দিক থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরাও ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।  এ সময়ে একটি ককটেল বিস্ফোরনের শব্দ শোনা যায়। এ ঘটনার পর পুরো শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। 

 

পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর শহরে মহড়া দেয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। 

 

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম বলেন, আমাদের ছেলেরা দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে হামলা করে। তারা পরিকল্পিতভাবেই আগে থেকে লাঠি-সোটা নিয়ে এসেছিল। ফিরে যাওয়ার সময় তারা একা পেয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ইরফান রাজা রুকুকে কুপিয়ে আহত করে। একটি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয়।

 

তবে পাল্টা অভিযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। তিনি বলেন, শ্রদ্ধা জানানো শেষে কলেজের বাইরে গেলে ভেতর থেকে আমাদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় আমাদের নেতাকর্মীরা ঘুরে গিয়ে প্রতিহত করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা আমাদের ভয় দেখাতে সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

 

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে রুকুর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্ল্যা জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।