বাউফলে দুই দিনের ব্যবধানে আব্দুল্লাহ রবি বকস শেখ (৫২) নামের আরেক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় দিকে কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালি গ্রামের হোগলা খাল থেকে পুলিশ তার ভাশমান মরদেহ উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত মরদেহের প্যান্টের পকেটে পাওয়া এনআইডি কার্ডে তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ইটালী গ্রাম ও ডাকঘর ভেওয়ামারা উল্লেখ রয়েছে।
মরদেহের পড়নে নীল রংয়ের জিঞ্চপ্যান্ট ও কোমরে বেল্ট পরা ছিল। গায়ে কোন পোশাক ছিলনা।
এছাড়াও তার সাথে সিরাজগঞ্জ ট্রাক এবং কার্ভাটভ্যানের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং-৮১৫) পদবী-সহকারী লেখা একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে আব্দ্ল্লুাহ রবি বকস শেখ কোন পরিবহনে সহকারী হিসাবে চাকরী করতো।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, কুম্ভুখালি হোগলা খালে যেখানে তার লাশটি ভাসছিল সেখানে ভাসার কথা না । কারণ খালট স্রোত বিহীন ছিল। খালটির পাশ দিয়ে একটি পাকা সড়ক রয়েছে। পাশে বিদ্যুতের লাইন চলে গেছে। অদূরে একটি কালভার্টের কাছে একটি অর্ধ পোড়া শার্ট পরে আছে।
ধারণা করা হচ্ছে বুধবার রাতে পরিবহনযোগে কুম্ভুখালী গ্রামে কোন ব্যক্তির মালামাল আনা হয়েছে। তখন আব্দু রবি বকস শেখ ওই পরিবহের উপরে ছিলেন অথবা উপর থেকে কোন কিছুতে পরিবহনটি আটকে যাওয়ার পর আব্দুল্লাহ রবি তা দেখার জন্য পরিবহনের উপরে উঠেন। এরপর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পরে যান। তখন পরিবহনে থাকা অন্যান্যরা কৌশলগত কারণে তার লাশ পাশে খালে ফেলে চলে যান।
বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল করার সময় পকেটে একটি কাগজ পাওয়া গেছে। তাতে লেখা আছে আবদুল্লাহ, সিরাজগঞ্জ। সেই সূত্র ধরে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলায় মঠবাড়িয়া এলাকায় তেঁতুলিয়া নদী থেকে শ্যামল দাস (৫৫)নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। ওই মরদেহের পকেটে থাকা পরিচয়পত্র অনুযায়ী বরিশালের কাউনিয়া এলাকার তার বাড়ি। বাবার নাম জীবন চন্দ্র দে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ
