ঢাকা, মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে ঘর পেলেন ৬৯৬ভুমিহীন পরিবার

বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিনঃ | প্রকাশের সময় : বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ ০৯:১৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

বাগেরহাটে আবারও জমিসহ ঘর পেলেন হতদরিদ্র ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার। বুধবার সকালে (২২মার্চপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়ালী এই ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পরে বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূমিহীন পরিবার গুলোর মাঝে জমির দলিল  ঘরের চাবি হস্থান্তর করেন। এসময়,বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাছির উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বুলবুল কবির, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিনামূল্যে জমিসহ ঘর পেয়ে খুশি হতদরিদ্ররা। বাগেরহাট সদর উপজেলার লাউপালা আশ্রয়কেন্দ্রে জমিসহ ঘর পাওয়া শিখা রানী অধিকারী বলেন, কখনও ভাবিনি দালানে থাকব, নিজের জমি হবে, জমির মালিক হিসেবে স্টাম্পের উপর নিজের ছবি থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই জমিসহ ঘর পেলাম, স্থায়ীভাবে দালানে থাকতে পারব এটা ভেবেই ভাল লাগছে।

একই আশ্রয়নকেন্দ্রে ঘর পাওয়া ফাতেমা বেগম বলেন, নিজের জমি না থাকায়, রাস্তার পাশে এবং মানুষের বাড়িতে থাকতাম স্বামী সন্তান নিয়ে। জমিসহ ঘর পেয়েছি, নিজের ঠিকানা হয়েছে। বাকি জীবন আশ্রয়নকেন্দ্রেই কাটাতে চাই।

শুধু ফাতেমা এবং শিখা নয়, বাগেরহাট জেলায় ঘরপ্রাপ্ত ৬৯৬ ভুমিহীন পরীবারের সদস্যদের অভিব্যক্তি একই রকম।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ১২৫ টি  চতুর্থধাপে ৫৭১ টি মোট ৬৯৬ টি ঘর নির্মান সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৪৪মোংলায় ২২০মোরেলগঞ্জে ১৩৭কচুয়ায় ১০ফকিরহাটে ৭৫মোল্লাহাটে ৮৩রামপালে ২০চিতলমারী ৩২টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ৭৫টি ঘর রয়েছে। চতুর্থধাপে প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে  লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। দুই শতাংশ জমিতে নির্মান করা প্রতিটি ঘরে বাড়িতে দুটি বেড রুমএকটা কিচেন রুমএকটা ইউটিলিটি রুমএকটা টয়লেট  একটা বারান্দা রয়েছে। বারান্দার সামনে ফাকা জায়গাও রয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরে থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হতদরিদ্রদের মাঝে এই ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে কাজ করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এখানে ভাল থাকবেন। ঘরপ্রাপ্তদের সবধরণের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আশে পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মানমসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাষনালয়খেলার মাঠফুল-ফলের বাগান করে দেওয়া হচ্ছে। একই সাথে সুপেয় পানির প্রাপ্ত নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে নলকুপ।  এছাড়া উপকারভোগীদের সব ধরণের আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা।