ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

বাঞ্ছারামপুরে দু'পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত, আহত ১০

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:০৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
গ্রাম্য আধিপত্য, নির্বাচনী বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দু'পক্ষের সংঘর্ষে পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধ অলেক মিয়া নিহতসহ আহত হয়েছে অপর ১০ জন। এসময় হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের শিকার হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে েলাকায় মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। নারকীয় ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা এলাকার।
 
 
রবিবার (৫ নভেম্বর) রাতে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে দু'পক্ষের সংঘর্ষকালে ঘটে এই হতাহতের ঘটনা। নিহত অলেক মিয়া (৫২) রাধানগর গ্রামের মৃত খুরশিদ মিয়ার পুত্র। নারকীয় এই ঘটনায় আহতদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
 
 
নিহতের পরিবার-স্বজন, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম্য আধিপত্য, নির্বাচনী বিরোধ এবং পূর্ব শত্রুতায় রাধানগর গ্রামের বর্তমান মেম্বার মাসুদ মিয়া এবং সদ্য নব-নির্বাচিত মেম্বার মহসিন মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরেই। এসবেরই জের ধরে রবিবার রাতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মেম্বারের সমর্থকেরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এসময় বর্তমান মেম্বার মাসুদ মিয়ার পক্ষের পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধ অলেক মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় আহত হয় আরো অন্তত ১০ জন। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট চালানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এদিকে আহত অলেক মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই খবর চাউর হলে উভয় পক্ষের মাঝে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। অবস্থার প্রেক্ষিতে পরবর্তী সংঘাত ঠেকাতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অলেক মিয়ার পরিবার থানায় দায়ের করেছেন হত্যা মামলা।
 
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'পরবর্তী সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'