বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে।সম্প্রতি সহিংস ঘটনায় নিরাপত্তা এবং অপরাধ সংগঠিতের সাথে জড়িত আ’লীগ নেতা-কর্মী, মন্ত্রী-এমপি, সন্ত্রাসী ও দূর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা যাতে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে সে কারণে ।তবে মেডিকেল ভিসার বাংলাদেশি যাত্রী এবং ভারতীয় যাত্রী যারা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তারা ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন।
আজ শনিবার (১০আগষ্ট) সকালে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র এ তথ্য জানান। গত মঙ্গলবার থেকে যাত্রী যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। তবে জরুরী চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী রোগীরা মেডিকেল ভিসার যাত্রী এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় যাত্রীরা ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন। আজ দুপুর দুইটা পর্যন্ত ১৩৫০ জনের মতো পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এ নিয়ে গত ৫ দিনে ৭ হাজার ৮২০ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যা সাধারণ সময়ের একদিনের যাত্রীর মতো।
অপর দিকে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কোন ভারতীয় যাত্রীকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীরা নিজ দেশে ফিরতে পারছেন।
বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাওয়া ভারতীয় যাত্রী দেবাশীষ বলেন, বাংলাদেশে আমার বাপ-দাদার বাড়ি। ক’দিনের জন্য বেড়াতে এসেছিলাম। এদেশের অবস্থা খারাপ দেখে তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছি।
চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া যাত্রী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমার স্বামীর হার্টের চিকিৎসার জন্য কয়েকমাস অন্তর ভারতে যাওয়া লাগে। আজ বর্ডারে এসে দেখছি হাতে গোনার মতো যাত্রী যাতায়াত করেছে। কেমন একটা ভয় ভয় লাগছে।পাসপোর্টধারী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন , আমি ভ্রমণ ভিসায় ভারতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেনাপোল এসেছিলাম। ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট সিল করার জন্য গেলে আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। এখন যাওয়া যাবেনা বলে অফিসাররা জানান।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনর্চাজ আযহারুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি সহিংস ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে।ভূয়া নাম পদবী ব্যবহার করে আ’লীগের কোন নেতা-কর্মী, এমপি-মন্ত্রী বা দুর্নীতিগ্রস্ত কোন ব্যাক্তি দেশ ত্যাগ করে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য আপাতত যাত্রী যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। তবে কিছু কিছু ভ্রমন ভিসার যাত্রীরা ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গোয়েন্দাদের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ গত বুধবার ভূয়া নাম ব্যবহার করে ভারতে যাওয়ার সময় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বন্দুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সজীবকে আটক করা হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।