ইসকন নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতার বাংলাদেশে সব পরিষেবা আটকে দেওয়ার হুমকির পরও স্বাভাবিক রয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যাতায়াত।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্বাভাবিক দেখা যায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এ ছাড়া দিনভর পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতও স্বাভাবিক দেখা গেছে। চিন্ময় দাস গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর মুক্তির দাবিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের পরিষেবা বন্ধের হুমকি দেন। এতে দিনভর গুজব ছিল বাণিজ্য ও যাত্রীসেবা বন্ধের। বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, সকাল থেকে দিনভর বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। সব ধরনের পণ্যের আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে মালামাল আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, চিন্ময় দাস একজন বাংলাদেশি। তাঁর অপরাধ থাকলে তা বাংলাদেশি আইনে বিচার হওয়াটা স্বাভাবিক। এখানে বাইরের দেশের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দুঃখজনক। বিশেষ করে এ ঘটনায় ভারতীয় বিজিবি নেতার বাণিজ্য বন্ধের হুমকি আরও বেশি দুঃখজনক।
ভারতের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে বাণিজ্য হয়ে থাকে। আর বাংলাদেশ কেবল আমদানি করে না, বড় ধরনের পণ্য রপ্তানি বাণিজ্য হয় ভারতের সঙ্গে। তাঁরা আশা করেন, ভারত সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখবে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক আব্দুস সালাম জানান, তিনি এবার সরকারের কাছ থেকে চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। ভারত থেকে চাল আমদানি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের সঙ্গে পরিষেবা বন্ধের হুমকি দিলেও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এ পথে বাণিজ্য স্বাভাবিক রেখেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এরপর গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গত সোমবার রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বায়ান্ন/এসএ