বিশ্ববাজারে জ্বালানি গ্যাসের চড়া মূল্য ও সংকটের মধ্যে একের পর এক আশার আলো দেখাচ্ছে দ্বীপজেলা ভোলা। জেলার সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় ইলিশা-১ নামের গ্যাস কূপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বাপেক্স)।
শুক্রবার সকাল থেকে অগ্নি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়। বাপেক্সের তত্ত্বাবধায়নে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাসপ্রোম এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৯টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। যা থেকে দৈনিক ১৮০ থেকে ২শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
জেলাটিতে এখন পর্যন্ত ৯টি কূপে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। সবশেষ ইলিশা-১ নামের নবম নতুন গ্যাস কূপেও গ্যাসের সন্ধান মিলল।
গত ৯ মার্চ সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপের খনন কাজ শুরু হয়। ৩ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় তিনটি স্তরে ডিএসটির মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ২৪ এপ্রিল।
বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের জিএম মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘কূপ খননের কাজে বিভিন্ন ধাপে ধাপে পরীক্ষা করে আজ (শুক্রবার) সফল বাস্তবায়ন পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছি। আজ মাটির গভীরের সবচেয়ে নিচের স্তর ৩ হাজার ৪৩৩ থেকে ৩ হাজার ৪৩৬ মিটারে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এখন প্রথম ডিএসটিতে আমরা সফল হয়েছি।’
তিনি বলেন, মাটির নিচে গ্যাসের প্রেসারও বেশ ভালো রয়েছে। মাটির নিচে যেখানে গ্যাস বারের অবস্থান সেখানে প্রায় ৫ হাজার পিসআরের মতো প্রেসার রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে কূপের মধ্যে যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করেছি সেগুলোও পরিষ্কার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলী জানান, ভোলার ইলিশা-১ কূপ থেকে আজ প্রথম লেয়ারে প্রথম দিনের পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। এমন আরও ৩টি লেয়ারে পরীক্ষা করা হবে। একেকটি লেয়ারে ৫ দিন সময় লাগে। তাই আগামী ১৫ দিন পরে জানা যাবে এখান থেকে দৈনিক কী পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাবে। এছাড়া জেলায় প্রায় দেড় থেকে দুই টিসিএফ গ্যাসের মজুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।