ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিল ইজারা নিয়ে কেটে নিচ্ছিলেন মাটি। এমনি অভিযোগে মাটিখেকো মাসুদকে প্রশাসন অর্থদণ্ড প্রদানের পর আবারও কেটে নিচ্ছিলেন মাটি। এহেন অভিযোগে এবার মাটিখেকো মাসুদ হায়দারকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (০৫ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত মাসুদ হায়দায় (৪৫) সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আহরন্দ গ্রামের মৃত আবু নাসেরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের উজানিসার এলাকায় সরকারি চামাউড়া বিল (জলাশয়) মাছ চাষের জন্যে 'জোনাকি মৎসজীবী সমিতি'র নামে ইজারা প্রদান করে প্রশাসন। শুকনো মৌসুমে এই বিলের জমিতে কৃষি কাজ করা হয়৷ কিন্তু সমিতির সভাপতি মাসুদ হায়দার জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার আত্মীয় পরিচয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিলের মাটি অবৈধভাবে শুকনো মৌসুমে ইটভাটায় সরবরাহ করে আসছিলো। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৬ মার্চ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাটিখেকো মাসুদ হায়দারকে আটক করে। আটকের পর তাকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সে আর মাটি কাটবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে ছাড় পায়। কিন্তু এরপর আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে মাটিখেকো মাসুদ। বিলের কৃষি জমি ও পার্শ্ববর্তী সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ মে শুক্রবার উজানিসার এলাকায় বিলের কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের সময় মাসুদ হায়দারকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটকের পর মাসুদ ভ্রাম্যমাণ আদালত ও উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন। এসময় সে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন। পরে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত ভেকোটি জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। (ছবি : মেইলে সংযুক্ত)