ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:১১:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর
বৃটিশ, তৎপূর্ববর্তী থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমৃদ্ধ জনপদ। দেশের শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমগ্র দেশের সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি দেশের গ্যাস-সার-বিদুৎ চাহিদার উল্লেখযোগ্য যোগান দিচ্ছে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভূমিকা গৌরবোজ্জ্বল। অথচ এখানে আজও কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে না ওঠা অত্যন্ত দু:খজনক। এবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবীতে সোচ্চার হয়ে ওঠছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। পালিত হলো অবস্থান কর্মসূচি।
 
 
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব অঙ্গনে 'ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার' দাবীতে দুই ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি। কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবদানকে বিবেচনায় এনে দ্রুততর সময়ে দাবীকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থাপনের দাবী জানান।
 
 
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমানের সঞ্চালনায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ টা নাগাদ টানা দুই ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়েদ আহমেদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর,জেলা ন্যাপ সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুর রাহমান, জেলা উদীচীর সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন, জেলা যুব মৈত্রীর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. নাসির মিয়া, জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ওয়াহিদ শামিম, পিস ভিশন সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র মৈত্রী সহ-সভাপতিও জেলা যুব মৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্র মৈত্রী প্রচার সম্পাদক মো. জিহাদ, সরাইল উপজেলা ছাত্র মৈত্রী নেতা তাবাসসুম মৃধা প্রমূখ। 
 
 
এসময় বক্তারা বলেন, বৃটিশ আমল এবং তৎপূর্ববর্তী সময় থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি সমৃদ্ধ জনপদ। শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থাও সমগ্র দেশের সাথে বেশ উন্নত। এই জেলার গ্যাস-সার-বিদুৎ পুরো দেশের চাহিদা পূরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, বায়ান্ন'র ভাষা আন্দোল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভূমিকার ছিলো উল্লেখযোগ্য। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার অর্ধ শতাব্দি অতিবাহিতের পরেও সমৃদ্ধ এই জনপদে গড়ে উঠেনি কোনো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বক্তারা দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবদানকে বিবেচনায় এনে দ্রুততর সময়ে দাবীকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থাপনের দাবী জানান। অন্যথায় আগামীতে কঠোর কর্মসূচীর ডাক দেয়া হবে বলেও জানান।