ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির ভুমিদস্যু আবু মুসা ফৌজদারী কোট ও পুলিশ প্রশাসন মানেননা। কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ক্ষমতা ওই কোটের নাই,এমপি-১৯৩/২২ (ভোলা-সদর) ১১.০৪.২০২২ ইং তারিখের মামলা কোন মামলাইনা, তার উপরে আবার নিষেধাজ্ঞা কি ? পুলিশ প্রশাসন কি করবে, তারা সাপেরও মা ব্যাঙ্গেরও মা। তাই জমিতে ঘরের কাজ করছি। রবিবার বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জমির মালিক মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক পরিবার, নিজাম, সাগর, হাসনা, খায়নুর, ইয়ানুর, মাকছুরার অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে দেখা গেছে, আব মুসাসহ তার বাহিনী- ১১.০৪.২২ ইং তারিখে রোজার মধ্যে,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দায়ের করা এমপি-১৯৩/২২নং মামলার উপর নিষেধাজ্ঞার পর থেকে দিনে-রাতে, গাছ কেটে লুট করা, টিন দিয়ে টেকচার ঘর তোলা, বেড়া দেয়া, বেড়া কেটে দরজা-কপাট করা, বালু ফেলে ভিটা করা, বিদ্যুত সংযোগ নেয়া, ঘরের মধ্যে চকি, টেবিল-চেয়ার দিয়ে মহিলা ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে অবস্থান করে মাদক সেবন করা, ঘর ভাড়া দেয়ার সাইন বোর্ড ঝুলানোসহ পাটে পাটে কাজ করে চলেছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের (ফৌজদারী কোট) নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও তা অমান্য করে এসব কাজ করে চলেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ভুমিদস্যু আবু মুসা-অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (ফৌজদারী কোট) ও পুলিশ প্রশাসন মানেননা বলে জানান। পুলিশের কাজ বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সাপেরও মা ব্যাঙ্গেরও মা তারা কি করবে। মুসা আরো জানান, তার ভাই আব্দুস সালাম,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (রাজস্ব) তে, কানোনগোর দায়ীত্বে রয়েছেন। সব ম্যানেজ তিনি করবেন, তার কথার বাহিরে ইউনিয়ন উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ( ভুমি) কোন কথাই বলতে পারবেননা, তাদের এত ক্ষমতা হয়নি। জমির মালিকের ১৬.৮৮ শতাংশ জমির পরিবর্তে ৩৬ শতাংশ বেশী জমি, ঢাকার ফতুল্লা সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রীর করে নেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, আমাদের বাড়ির কাছের জমি তাই যা ইচ্ছে তাই করা যায়, এটি কোন বিষয়ই নয়। কোটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘরের কাজ করার বিষয়ে বাদী ভোলা সদর মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ ২ বার ৩ জনকে আটক করেছে এবং কাজ বন্ধ করে দেন পুলিশ।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ আরমান হোসেন জানান, কোন অপরাধীকে আইনে ছাড়েনা,তার বিরুদ্ধে আনিগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, নিষেধাজ্ঞার নোটিশ জারি পরে বিবাদী পক্ষরা আদেশ অমান্য করে দিনে ও রাতে গাছ কাটাসহ পাটে পাটে অনেক গুলো কাজ করেছে, আমরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গেলে টের পেয়ে বিবাদী পালিয়ে গেলেও ২ বারে তার ৩ জন সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। যে জমি ও যে টুকু ঘরের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তার ভিডিও ও ছবি আমাদের কাছে রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত চাইলে প্রতিবেদন দাখিল কার হবে।