৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানি দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করা বাংলাদেশেই আজ দায় সাড়া মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে শহীদসৃতি স্তম্ভে ঘোষিত পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে দেখা যায়নি উপজেলার সব চেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বায়িত্বশীল কাউকে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ৭ ঘটিকায় উপজেলার শহীদ সৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পন করার ঘোষণা দেয় উপজেলা প্রশাসন। নির্ধারিত সময়ে সরকারি, বে-সরকারি অফিস, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সর্বসাধারণ পুষ্পমাল্য অর্পণ করলেও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাউকে নির্ধারিত সময়ে দেখা যায়নি। সকাল ৮ টার পর দেখা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অফিস সহায়ক রফিকুল ইসলাম গাড়ির ড্রাইভার সেলিম ও একজন নার্সের স্বামী আলী নুর নামক এক ব্যক্তিকে রাস্তার পাশে মোটরসাইকেলের উপর ফুলের ডালা রেখে খোশ মেজাজে গল্প করতে।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও দ্বায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা (টি এইচ এ) না আসায় অফিস সহায়ক রফিকুল ইসলাম তার মোবাইলে ফোন দিয়ে আর এম ও ডাক্তার নাজমুস সাকিবকে দ্রূত আসতে বলেন তিনি আসার পর ড্রাইভার সেলিম নার্সের স্বামী আলিনুর ও আমলসার কমিউনিটি ক্লিনিক এর হেলথ প্রোপাইটার ও একজন পরিকল্পনা মাঠকর্মীকে নিয়ে বেলা ৮ঃ১৫ টার সময় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে দায় সাড়া ফুলের ডালা রেখে আসতে যায়।
ঘটনাস্থলে সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত থাকায় তারা বিভিন্ন ভাবে সময়ক্ষেপন করে। এ সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে হাসপাতাল কমপ্লেক্সের এক নার্সের হাজবেন্ড আলিনুর সাংবাদিকদের উদেশ্য করে কটুবাক্য করে।
নার্সের হাজবেন্ড আলিনুর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শ্রীপুরের খুদে সাংবাদিকদের কারণে অনেক কিছুই করা সম্ভব না। ফুলের ডালা দেওয়ায় যাচ্ছেনা এসব সাংবাদিকদের কারণে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান লিটন বলেন, আমি গতকালই চলে গিয়েছিলাম তবে অফিসে বলে গিয়েছিলাম ফুল দেওয়ার জন্য কিন্তু কি কারণে দেরি হলো আমি এ বিষয়টি দেখছি।