‘মাদককে রুখবো, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বো’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হলো মাদক নির্মূলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা সভা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় হোটেল মম-ইন এ বগুড়া জেলা প্রশাসন ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর বগুড়া আয়োজিত ‘মাদক নির্মূলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, বগুড়া জেলা পরিষদের প্রশাসক ডাঃ মকবুল হোসেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের শৃঙ্খলা-১ ও ২ শাখা সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব আফরোজা আক্তার রিবা ও বগুড়ার সিভিল সার্জন ডাঃ শফিউল আজম।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মাদকের ভয়বহতা থেকে যুব সমাজ তথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আজকের কর্মশালা।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুম আলী বেগ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘মাদক নির্মূলে সমন্বিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক রাজিউর রহমান। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান।
মূল প্রবন্ধের উপর উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন, বগুড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু, শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সান্নু, সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটন, শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকা, শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার প্রমুখ।
পরে বিভিন্ন গ্রুপের প্রতিনিধিরা গ্রুপ ওয়ার্ক উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, মাদকের ভয়বহতায় সমাজ অস্থির হয়ে উঠেছে। যুব সমাজ থেকে শুরু করে শিশু কিশোররা মাদকের নিল সোবলে ধ্বংসিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রনহীনভাবে চলছে মাদক। এ অবস্থা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য প্রয়োজন জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি। তিনি আরো বরেন, ইতিমধ্যেই যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু পুলিশের উপর দায়িত্ব দিয়ে বসে থাকলে হবে না। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে আওয়াজ তুলতে হবে।