ঢাকা, শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মাদক সেবনের দ্বন্দ্বে বন্ধুকে খুন

নুর ইসলাম নাহিদ | প্রকাশের সময় : বুধবার ১২ অক্টোবর ২০২২ ১০:০২:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর


ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় সারোয়ার রহমান শান্ত খুনের ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (১০ অক্টোবর) জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- মুক্তাগাছা উপজেলার কান্দিগাঁও এলাকার সাইদুল ইসলাম রাজার ছেলে মো. রবিউল হাসান শুভ (১৭) ও একই উপজেলাটির কান্দিগাঁও গ্রামের বাবর আলীর ছেলে মো. তারিকুল ইসলাম লিমন (১৭)।

নিহত শান্ত পৌরসভার নবারুণ বিদ্যা নিকেতনের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মুক্তাগাছা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমানের ছোট ছেলে।

জানা গেছে, গত বুধবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুক্তাগাছা উপজেলার পাইকা শিমুল নতুন বাজার এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন চলছিল। এ সময় শান্তকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে শান্তকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ৭ অক্টোবর মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সোমবার মুক্তাগাছা থানা এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তারিকুল ইসলাম লিমন ও রবিউল হাসান শুভকে গ্রেপ্তা করে পুলিশ।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদে লিমন ও শুভ শান্তকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা পুলিশকে জানায়, ঘটনার ১০ দিন আগে তাদের এক বন্ধুর সঙ্গে শান্তর বিরোধ হয়। মাদক সেবন নিয়ে বিরোধের জেরে লিমন, শুভ ও তাদের আরও দুই বন্ধু মিলে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ধারালো ছোরা নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। শান্তকে সেখানে ডেকে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সবাই।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে দুই কিশোরকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলাম সোহাগের আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।