ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বেসকারী ক্লিনিক ও ডাগানস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসময় অনুমোদনহীন তিনটি ক্লিনিক সিলগালা, এক চিকিৎসককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও তিন ক্লিনিককে অর্থ দন্ড দেওয়া হয়। অভিযানের সংবাদ পেয়ে উপজেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তরিগরি করে লোকজন বের করে দিয়ে নিজের ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে রেখে পালিয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মনসুরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সারা দেশে অনুমোদনহীন বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে অংশ হিসেবে মঙ্গলবার মুক্তাগাছায় অভিযানে বের হয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এসময় শহরের মুন সিনেমার পাশে অন্তর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মুস্তাক আহমেদ তালকদারকে আয়ুর্বেদ থেকে পড়ালেখা করে এমবিবিএস ডাক্তারের সমমান লিখে প্যাড ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদান করায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় কোন ধরনের সরকারী অনুমোদন না থাকায় ক্লিনিকিটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। সাহেব বাজার এলাকায় উপজেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মাজহারুল হক বিপ্লব সরকারের মালিকানাধীন নিরাময় ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে ভ্রাম্যমান আদালত আসছে খবর পেয়ে ক্লিনিক মালিক বিপ্লব সরকার ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ডাগানস্টিক কমপ্লেক্সটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
মনিরাম বাড়িতে নাবহান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সরকারী অনুমোদন না থাকায় ক্লিনিক মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিনদিনের জেল দেয় আদালত। সেই সাথে ক্লিনিকটিকে সিলগালা করে দেয়া হয়।
অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাফিজ উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্জারী কনসালটেন্ড ডা. মিঠুন কুমার বক্সি ও থানা পুলিশ ভ্রাম্যমান আদালতের সঙ্গে ছিলেন।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মনসুর জানিয়েছেন।