ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১
২২ দিনেও হয়নি চুরের বিচার

মুরাদনগরে চারটি চুরির গরু উদ্ধার

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১১:৩০:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ই বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া চারটি গরু বারেশ্বর গ্রামের  প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল নাঈম ভূইয়ার বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে উদ্ধার করেন এলাকাবাসী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ঘটনার পর থেকে চোর চক্রের দুই সদস্য বারেশ্বর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে সুমন (২৭) ও একই গ্রামের লিয়াকত মিয়ার ছেলে রাব্বি (২৫) পলাতক রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি সকালে এই গরুগুলো উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত চুরির  বিচার বা থানায় অভিযোগ হয়নি। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সূত্রে জানা যায়,  উপজেলার আকবপুর   ইউনিয়নের কড়ই বাড়ি গ্রামের ইউসুফ ও কাইয়ূম   মিয়ার ঘর থেকে  (২৫ জানুয়ারী) রাতে চারটি   গরু চুরি হয়। পরদিন সকালে   আন্দিকুট ইউনিয়নের বারেশ্বর  গ্রামের  এমজি নাঈম ভূইয়ার বাড়ি থেকে  গরুগুলো উদ্ধার করেন গরুর মালিক ও এলাকাবাসি । প্রধান শিক্ষকের ঘরে চুরির গরু এখবর মূহর্তে পুরো কয়েক গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে । তখন উৎসুক জনতা উদ্ধারকৃত গরুগুলো দেখতে যায়।  এমজি নাঈম ভূইয়া কোরবানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।  গরু চারটির  আনুমানিক মূল্যে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা।
স্থানীয়রা জানান, এদের কাছ থেকে আগেও চুরির গরু উদ্ধার করা হয়েছে। রাব্বি ও সুমন গরু ব্যবসার আড়ালে চুরি করা গরু কসাইয়ের কাছে বিক্রি করত। কড়ই বাড়ি এলাকার কয়েকজন মুরুব্বি বলেন, কোথাও গরু চুরি হলে তা বারেশ্বর আর পান্ডুঘর গেলে পাওয়া যায়। রাব্বি ও সুমন গরু চুরির মূল হুতা।
প্রধান শিক্ষক এমজি নাঈম ভূইয়া জানান, “ আমি ১২ বছর বাড়িতে থাকি না। আমাদের গোয়াল ঘরে আমার ভাগিনা রাব্বি দুটি গরু পালন করে। এই সুবাদে বারেশ্বর পশ্চিম পাড়ার গরু ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার ছেলে সুমনের সাথে সে চলাফেরা করে ।   কিছুদিন আগে সুমন কড়ই বাড়ি থেকে চারটি গরু চুরি করে  আমাদের গোয়াল ঘরে ভাগিনার গরুর সাথে বেঁধে  রাখেন।
এলাকাবাসী গরু উদ্ধার করে আমাকে  অবগত করেন।  তখন আমি বাড়িতে যাই এবং দুই চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে গরুগুলো তাদের মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

আন্দিকুট ইউপি চেয়ারম্যান  মোঃ জাকির হোসেন বলেন, বারেশ্বর গ্রামের প্রধান শিক্ষকের ঘর থেকে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।  অভিযুক্ত  গরু চুর সুমন ও রাব্বি এলাকায় নাই। তাই বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।  
এ বিষয়ে বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন  বলেন,  বিষয়টি আমার জানা নেই।  অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  ###