খাদ্যদ্রব্যে মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বাজারে এখনও সিন্ডিকেট আছে এবং এরা আরো বাড়ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আকতার। সেই সঙ্গে জনগণের কাছে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করাও চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি।
শুক্রবার ( ২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজ প্রাঙ্গনে দুই দিন ব্যাপী আদিবাসী খাদ্য ও শস্য মেলা-২০২৪ উদ্বোধনীকালে এ কথা বলেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলা প্রাঙ্গণে চারিদিকে স্টলে বিক্রি হচ্ছে পাহাড়ে উৎপাদিত শাক, সবজিসহ হরেক রকমের ফল ও চাল। এছাড়াও মেলায় বিভিন্ন স্টলে পাওয়া যাচ্ছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহি সব পিঠা।
বাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, সিন্ডিকেট আছে বলেই ফসল বা মাছ, মাংস উৎপাদনকারীরা নায্য মূল্য পায় না। আবার ক্রেতাদের অধিক দামে কিনতে হচ্ছে। সিন্ডিকেট আরো বাড়ছে! এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
নিরাপদ খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ করা চ্যালেঞ্জিং জানিয়ে তিনি বলেন, মেইন স্ট্রিট খাদ্য উৎপাদনে কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধ হয় নি। তবে, মাছ এবং ডিমে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করতে পেরেছি। ফিডে এখনও কিছু ক্ষতিকারক উপাদান থাকলেও পোল্ট্রি এখন অ্যান্টিবায়োটিকমুক্তো যোগ করেন তিনি।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনগণ আগের চেয়ে অনেক সচেতন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রায় ৮২ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।আর দেশে যে পরিমাণ শাক-সবজি উৎপাদন হয় তার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশি বিশুদ্ধ শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। তাই আমরা যারা বৃহৎ জনগোষ্ঠী আছি আমাদের দায়িত্ব পাহাড়ি মানুষের খাদ্য, সংস্কৃতিকে রক্ষা করা।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বাঙালিসহ ৫৪টির বেশি জনগোষ্ঠী বসবাসরত আছে। তার মধ্যে বাঙালি ভিন্ন অন্যান্য আদিবাসী জাতিসমূহের যে সংস্কৃতি, ভাষা,খাদ্যভাস ও বিশেষ কৃষি সেগুলো রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথের বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ আর্থসামাজিক ভাবে এখনো পিছিয়ে আছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী ঢাকায় পড়াশোনা করতে পারে, তাই আদিবাসীদের কথা ভেবে ঢাকায় আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বায়ান্ন/এমএমএল/পিএইচ