ষড়ঋতুর বাংলাদেশে, বারো মাসে তেরো পার্বণ। হেমন্তের অগ্রাহায়নে নবান্ন উৎসব তারই একটি। বাঙালি জাতির হাজারো বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে নবান্ন উৎসব। ‘নবান্ন’ শব্দের অর্থ ‘নতুন অন্ন’ বা ‘নব অন্ন’। নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে তৈরি করা চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব।
সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালে আমন ধান পাকার পর এই নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলার কোথাও কোথাও মাঘ মাসেও নবান্ন উদযাপনের প্রথাও রয়েছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনেই ধান কেটে নবান্ন উৎসব পালন করে থাকে। সেখানে নতুন ধানের চালের ক্ষীর, পায়েস, পিঠা পুলিরও আয়োজন করা হয়। আয়োজন করা হয় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবারের।
এদিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চৈতন্যপুরে জাতীয় পদক প্রাপ্ত কৃষক মো. মনিরুজ্জামান মনির এর আয়োজনে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠানে আদিবাসী মেয়েরা ধান কেটে বরেন্দ্র অঞ্চলের আদি কৃষির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পালন করেন।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোফিয়া আহমেদ’র সভাপতিত্বে ‘নবান্ন উৎসবে’ ধান কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (রাজশাহী) উপ-পরিচালক উম্মে সালমা।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বরেন্দ্র কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মো. সাখাওয়াত হোসেন, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবু সালে মো. ফাত্তাহ, কৃষি গবেষক ও সংগঠক শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শাহ ও জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক, গবেষক ও তানোর ধানের উদ্ভাবক শ্রেষ্ঠ কৃষক নূর মোহাম্মদ।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে