ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

রাবার ড্যাম উজানে ফিটফাট, ভাটায় সদরঘাট।

(খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : রবিবার ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০৭:০৩:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 
শহর সাজাতে দৃষ্টিনন্দন জায়গার তুলনাই নেই। তবে লক্ষ্য করলে দেখা মিলে এমন দৃষ্টিনন্দন জায়গাগুলিই ধারন করে আছে অশোভনীয় আকারে।
 
বলছিলাম খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার রাবার ড্যামের কথা। শত শত কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে পানছড়ি সদর থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোঃ দূরে শান্তিপুর এলাকায় চেঙ্গী নদীর বুকে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো রাবার ড্যাম। ফলে একদিকে যেমন কৃষকের মুখে স্বস্থির হাসি ফুটেছিলো অন্যদিকে দর্শনার্থীদের চেহারায় দেখা মিলেছে প্রকৃতির সৌন্দর্যের ছাপ।
 
অথচ বর্তমানে সৌন্দর্য বর্ধনের স্থানে এসে দেখা মিলছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। রাবার ড্যাম এলাকার পুরো নদী জুড়ে জমে আছে ময়লার ভাগাড়। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এতো আবর্জনার স্তুপ আসছে কোথা থেকে?
 
একটু অতীতের দিকে ফিরে গেলে দেখা মিলে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে চেঙ্গী নদীতে পানছড়ি বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলা নিয়ে প্রতিবেদন করা হয় " যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা হচ্ছে চেঙ্গী নদীতে- প্রশাসন যেন নীরব ভূমিকায়" এই শিরোনামে। সংবাদ প্রকাশের ৪ মাস হয়ে গেলেও নজর কাঁড়েনি প্রশাসনের। এখানেও প্রশ্ন থেকে যায়, নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ হিসেবে নদীকেই অবমূল্যায়ন করছি নাতো? প্রতিনিয়তই চেঙ্গী নদীতে ফেলা হচ্ছে বাজারের সকল আবর্জনা। আর সেটি উজানে রূপ নিয়ে রাবার ড্যামকে ভাটা হিসেবেই বেছে নিয়েছে।
 
রাবার ড্যামের এমন করুণ অবস্থা দেখে আক্ষেপ শোনা যায় দর্শনার্থীদের মুখে। তাদের দাবী বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার একটি নির্দিষ্ট জায়গা করা হোক। তারা প্রকৃতির এমন করুণ রূপ দেখতে চায় না।