ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রায়পুরায় বিদ্যালয় ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নরসিংদী প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : রবিবার ১০ এপ্রিল ২০২২ ০৪:৪২:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

নরসিংদীর রায়পুরার কোহিনুর জুট মিল হাইস্কুল ঘাগটিয়া বিদ্যালয় ও প্রধান শিক্ষক কে নিয়ে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। 

রবিবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আতিকুর রহমান, প্রধান শিক্ষক-কোহিনূর জুট মিল হাই স্কুল ঘাগটিয়া, রায়পুরা, নরসিংদী। আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কোহিনূর জুট মিল হাই স্কুল ঘাগটিয়া ও এর শিক্ষকদের হয়রানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত অপপ্রচারের প্রতিবাদে জানাচ্ছি। 

১৯৮১ সালে শুশু জুট মিলের শ্রমিক ও কমকর্তাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষালাভে স্কুলটির পাঠদান কার্যকম শুরু হয়। কোহিনূর জুট মিলের শ্রমিক নেতাদের আধিপত্য নিয়ে দন্ধ ও খুন খারাপি হলে মিলটি তালা বদ্ধ হয়। উক্ত স্কুলের শিক্ষকরা পরবর্তীতে রেলওয়ের জায়গার উপর শ্রমিকদের জন্য নির্মিত কলোনিতে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু করেন। বিদ্যালয়ের জন্য সরকারি নিয়ম মোতাবেক জমির দলিল সম্পাদন না করেই বিএনপি সরকারের আমলে অথাৎ ১৯৯৫ ইং সালে বিদ্যালয়টি জুনিয়র স্কুল হিসেবে এমপিও ভুক্তি হয়। ১৯৯৮ ইং সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। ২০০১ সালে শেষের দিকে আমি আতিকুর রহমান বিধি মোতাবেক সহকারি শিক্ষক বাংলা এবং আমার ভাই আহসান হাবিব ২০০৩ সালে সহকারী শিক্ষক সমাজ-বিজ্ঞান হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। পরবর্তিতে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রীকৃত মূল দলিল চেয়ে পত্র প্রেরণ করেন। প্রধান শিক্ষক জমির দলিল নেই বলে জানান এবং ঐ সময়কার সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে আবেদন করিলে ২০০৬ সালের শেষের দিকে বিদ্যালয়টিকে গৌরিপুর থেকে ঘাগটিয়া গ্রামে শিক্ষা বিভাগের নামে বেতলব ভাবে রের্কড ভুক্ত ভাবে ১২৩ শতাংশ পতিত জায়গায় স্থানান্তর করেন। ২০০৭ সাল থেকে কোহিনূর জুট মিল হাই স্কুল ঘাগটিয়া যথাযথ সরকারি দপ্তরের অনুমতি ও মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে সকল ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান করা হয়। যদিও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে কিছু জটিলতার কারণে আমরা পিছিয়ে আছি কিন্তু পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল যথেষ্ট ভালো। প্রতি বছরই ফলাফলের দিক থেকে বিদ্যালয়টি উপজেলায় ২য় স্থান লাভ করে আসছে। আমাদের স্কুলের সফলতায় ইর্শান্বিত হয়ে কিছু মহল আমাদের বিদ্যালয় ও আমরা শিক্ষকদের নামে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো শুরু করেছে। ২০০৭ সাল থেকে আমি আতিকুর রহমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে এবং পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক হিসাবে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করিতেছি। উক্ত স্কুলের বিষয়টি সম্মানিত এসিল্যান্ড, ইউএনও, জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ শিক্ষা ডিপার্টমেন্টের সকলেই অবগত আছেন। বিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ বিধিবর্হিভূত ভাবে নিয়োজিত শিক্ষক আছমা বেগম ও মোঃ আবদুল মালেক যাদের নিয়োগ কালীন পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি, কমিটির রেজুলেশন ও ফলাফল শীট নেই তাহাদের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রনালের অডিট আপত্তিসহ বেতন ফেরতের নিদের্শ রয়েছে। এই দুই শিক্ষক অবৈভাবে নিয়োজিত থাকার জন্য একটি র্স্বাথান্বেষি মহলের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় কোহিনূর জুট মিল হাই স্কুল ঘাগটিয়া ও এর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার চালাচ্ছে। আমি সকল অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।