ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরের হল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার মিম

মু.ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ,করেসপন্ডেন্ট : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৩ মার্চ ২০২৩ ০২:০০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 
কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরীকে র‍্যাগিং এর দায়ে হাইকোর্টের নির্দেশে পাঁচ ছাত্রী কে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষ।  পাঁচজনের মধ্যে (৪) নাম্বার ছাত্রী ইসরাত জাহান মীমের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রামের বরকন্দাজ বাড়ির। 
 
তার বাবা মরহুম রফিক উল্যা মাস্টার একই উপজেলার কেএম ইউনাইটেড একাডেমির (মাঝিরগাঁও) প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার একমাত্র ভাই রাকিবুল হাসান মাসুদ রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। 
 
ইসরাত জাহান মীম রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও রামগঞ্জ মডেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি হন। দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ছাত্রী হিসেবে অবস্থান কালে সে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে।
 
 ইতিমধ্যে  হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি ফুল পরীর বক্তব্য নিয়েছে। সেই বক্তব্যে ফুল পরী অভিযোগ করেন, "মোটা আপুরা বেশি নির্যাতন করেছে আমার উপর"। হাইকোর্ট গঠিত তদন্ত কমিটি  সন্দেহাতীত ভাবে মীমও জড়িত বিষয়টি নিশ্চিত করে। ফলশ্রুতিতে ৫ ছাত্রীর হলের আবাসিকতা বাতিল করে। 
 
তবে আজ পর্যন্ত এই ঘটনায় মিম এলাকায় ফেরেনি বলে এলাকাবাসী জানান। এই ঘটনায় বিব্রত লক্ষ্মীপুর জেলাবাসী। 
 
 
ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলাপরিপন্থী, অপরাধমূলক ও সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
 
বুধবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিকেল তিনটায় বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
 
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্রলীগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, কর্মী হালিমা আক্তার ঊর্মি, ইসরাত জাহান মীম, তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহানকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
 
বহিষ্কারাদেশ স্থায়ী না-কি অস্থায়ী জানতে চাইলে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমাদের উৎসগুলো থেকে তথ্যের ভিত্তিতে বহিষ্কার করেছি। সকলের সংশ্লিষ্টতা আছে এটা নিশ্চিত। এখন অপরাধ কতটুকু এটাতো বিবেচ্য বিষয়। এখানে তাদের ভুল বা অন্যায় যেটাই হোক। তার গভীরতার ভিত্তিতে বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে। এটা স্থায়ীও হতে পারে, অস্থায়ীও হতে পারে।
 
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন- ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার ঊর্মি, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান।