লক্ষ্মীপুরে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, রামগতি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওয়ারেজ মোল্লা, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আব্বাছ উদ্দিন, সাবেক যুবলীগ নেতা পরান চৌধুরী ও মোহাম্মদ রবি ইসলাম।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ও রামগতি পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রোববার দুপুরে আদালত প্রাঙ্গনে লিফলেট বিতরনের সময় জনতার হাতে আটক পরান চৌধুরীকে সাদ আল আফরান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া অপর আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদা পাটওয়ারী, জহিরউদ্দিন বাবর, ওয়ারেছ মোল্লা ও আব্বাছ উদ্দিনকে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সাদ আল আফরান হত্যা মামলায় এবং মোহাম্মদ রবি ইসলামকে সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরন করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, সাদ আল আফরান হত্যা মামলায় আওয়ামী লী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রীজ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষকলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এবং হামলা করে। এ সময় কলেজ শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান মারা যায়। এতে দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত তিনশ জন। এসব ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ
