যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার চিকারকান্দি গ্রামের কৃতিসন্তান মাসুক মিয়া। প্রবাস থেকে সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে যান তিনি। করোনাকালেও ছিলেন মানুষের কাছাকাছি। কিন্তু এতেও মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয় না। জনসেবার ব্রত নিয়ে সুদূর যুক্তরাস্ট্র থেকে এসে স্থানীয় শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নামা মাসুক মিয়াকে ঘিরে ভোটের মাঠ সরগরম। প্রচারণায় চমক দেখিয়েছেন মাসুক মিয়া। এখন ভোটের অপেক্ষা।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মাসুক মিয়ার পিতা ও বড় ভাই শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত ইউপি নির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। নির্বাচনে অনেকই চেয়ারম্যান হয়েছেন কিন্তু স্থানীয় জনগণের ভাগ্যের বদল হয়নি। এবারে পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে এবারো এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হতে ৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে লড়াইয়ে রয়েছেন দুই প্রার্থী। এরা হচ্ছেন-জনগণ মনোনীত প্রার্থী ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোঃ মাসুক মিয়া(আনারস),আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রাশিকুল ইসলাম(নৌকা)। অন্যান্যরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাস খান অপু(ঘোড়া), আলাল মিয়া,(অটোরিক্সা) বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন(চশমা), কামাল হোসেন(মোটর সাইকেল), জয়নাল আবেদীন(টেবিল ফ্যান)।
ভোটাররা জানিয়েছেন- পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের সামাজিক কাঠামো খুবই শক্তিশালী। মানুষ চায় উন্নয়ন। কিন্তু বিগত দিনে সেই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন পায়নি এলাকার মানুষ। এখনো গ্রামীণ জনপদে বর্ষার মৌসুমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মাসুক মিয়া জানিয়েছেন- তিনি নির্বাচিত হলে প্রথমে ইউনিয়নের অবহেলিত গ্রামগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলবেন। গ্রাম হবে শহর- এমন স্লোগান বাস্তবায়িত হবে। সামাজিক কাটামো শক্তিশালী করে এলাকায় শিক্ষিতের হার বাড়ানো এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উপর সবচেয়ে বেশি নজর দেয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করা হবে। তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে এই মূহূর্তে পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে একজন সেবক দরকার। তিনি সেবক হওয়ার জন্য যুক্তরাস্ট্র থেকে এসে প্রার্থী হয়েছেন। তার জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। তিনি জনগণের জন্য কাজ করতে প্রবাস ছেড়ে দেশে এসেছেন। এলাকার মানুষ ভোটে তাকে হতাশ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী মাসুক মিয়া।