শান্তিগঞ্জের পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ ছিফতখালী বেরিবাঁধ কেটে জলমহালের পানি নিস্কাশন করছে একটি মহল। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে উপ্তিরপাড়, মৌখলা, ঠাকুরভোগ ও টাইলা গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর বোর জমি। সরেজমিন বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত না করে রাতের আঁধারে কে বা কাহারা খুবই ঝুকিপূর্ণ একেবারে অক্ষত টেকসই ছিফতকালী বেরিবাঁধটি এসকেভেটর মেশিন লাগিয়ে প্রায় ৩০ ফুট গভীর খালের মত কাড়া করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করছে। এই বাঁধ কাটা কাড়া দিয়ে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত পানি নিস্কাশন করা হবে বলে জানান কাউয়ুজুরী গ্রামের কৃষক শেলু মিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাঁধের পার্শবর্তী গ্রামের আরও একাধিক কৃষক জানান, এইভাবে অপরিকল্পিতভাবে এত ভাল টেকসই ঝুকিপূর্ণ বাঁধটি কেটে দেওয়ায় বৃষ্টি বাদলের দিন ফাল্গুন অথবা চৈত্র মাসে তড়িঘড়ি করে ঝুকিপূর্ণ বাঁধটি মেরামত করা হলে এইভাবে টেকসই না হয়ে বাঁধটি ঝুকিপূর্ণ থেকে যাবে বিধায় প্রথম দাপে পানি আসার পর নতুন ভাবে বাঁধটি মেরামত করা হলে সহজেই ভেঙ্গে গিয়ে হাওর ডুবির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হাওরে গিয়ে অনেকের সাথে আলোচনা করা হলে বাঁধটি কে কেটে দিয়েছে তা কেই বলতে পারেননি।
এ ব্যাপারে মরা মহাসিং নদী জলমহালের ইজারাদার জাবেদ নুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এই বাঁধটি আমরা কেটে দেইনি, কে বা কাহারা কেটে দিয়েছে আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে পাঁচকাইপনা জলমহালের ইজারাদার নুর মিয়ার মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দেওয়ার পর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মাহবুল আলম ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান জানান, বাঁধ কাটার বিষয়ে কেউ আমাদেরকে অবগত করেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যারা বাঁধটি কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।