শান্তি ও অহিংসার লক্ষ্যে ৩য় বিশ্ব সম্মিলনকে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তীকালিন সরকার। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিউম্যানিষ্ট মুভমেন্টের উদ্যোগে আগামী ৫ জানুয়ারী দক্ষিণ আমেরিকার কোষ্টারিকায় শান্তি ও অহিংসার লক্ষ্যে ৩য় বিশ্ব সম্মিলন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন এ সংক্রান্ত এক বার্তায় ৩য় বিশ্ব মার্চের সফলতা কামনা করেন।
শান্তি ও অহিংসার লক্ষ্যে ৩য় বিশ্ব সম্মিলন উপলক্ষ্যে গত ২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অহিংস দিবসে কোষ্টারিকার রাজধানী সান হোসে থেকে শান্তি ও অহিংসার বাণী নিয়ে হিউম্যানিষ্ট স্বেচ্ছেসেবীরা বিশ্ব পরিভ্রমন শুরু করেছেন। এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের দেশে দেশে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতা ও নানা রকম কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে ৩য় বিশ্ব সম্মিলন সফল করার ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চলছে। বিশ্ব পরিভ্রমনে টানা ৯৩ দিনের সফরে ৫টি মহাদেশ সফর শেষে আগামী ৫ জানুয়ারী কোষ্টারিকায় 'সান হোসে ডিক্লারেশন' এর মাধ্যমে শান্তি ও অহিংসার লক্ষ্যে ৩য় বিশ্ব মার্চের বৈশ্বিক সম্মেলন শেষ হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার বার্তায় বলেন 'আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বব্যাপী বর্তমান অস্থিরতা নিরসনে শান্তি ও অহিংসার লক্ষ্যে ৩য় বিশ্ব মার্চ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে শান্তি ও অহিংসার বার্তা নিয়ে গত ২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসের পর থেকে হিউম্যানিষ্ট স্বেচ্ছাসেবকরা সারা বিশ্বে ৯৩ দিনের যে বিশ্ব ভ্রমণ কর্মসূচি পালন করছে; বিশ্ব শান্তির পক্ষে বিশ্ববাসীকে জাগ্রত করার জন্য এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।' উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে বিশ্বের ৯৩টি দেশ এই বিশ্ব সম্মিলনীর প্রস্তাবনায় অনুস্বাক্ষর করেছে এবং ৭০টি দেশ এতে অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর হিউম্যানিষ্ট মুভমেন্ট, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেনের সাথে তার অফিসে সাক্ষাত করে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শান্তি ও অহিংসার লক্ষ্যে ৩য় বিশ্ব সম্মিলনকে সমর্থনের দাবী জানান। প্রতিনিধি দলেন ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক শামসুল হক বসুনিয়া, শেখ মোঃ আরীফ এবং গেরিলা কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম কানু।
বায়ান্ন/এসবি/পিএইচ