জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রদলের কমিটিতে ত্যাগী ও নির্যাতিতদের মূল্যায়ণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এতে শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের কর্মী মাজহারুল আলম তমাল সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয় সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী রায়হান হোসাইন বলেন, ‘যারা ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রাণ ধরে রেখেছে, তাদের বাদ দিয়ে আজকের যে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে, সেটিকে আমরা অবশ্যই অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করছি।’
জাকসু এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল দুইটি স্বতন্ত্র সংগঠন দাবি করে তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এবং জাকসুকে এক করা যাবে না। জাবি ছাত্রদলের কমিটি হতে হবে ত্যাগী এবং নির্যাতিতদের নিয়ে। আমরা দেখেছি ঢাকার কয়েকটি কমিটিতে সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাহলে ৫ আগস্টের পরে যদি তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ক্ষেত্রে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে কোনো অপশক্তির কারণে জুনিয়রদের কমিটি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।’
মোহাম্মদ ইব্রাহীম নামে ছাত্রদলের আরেক কর্মী বলেন, ‘শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীর বেশে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। জাকসুর অছিলায় ছাত্রদলের সিনিয়র-ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে আমাদের সর্বশেষ হল কমিটি হয়েছিল ২০১২ সালের জুন মাসে। এরপর ২০১৬ সালে আংশিক কমিটি হলেও আমরা অনেক পদপ্রত্যাশীরা পরিচয়ই খুঁজে পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাথে আমরা ছয়টি মতবিনিময় সভা করেছি। তবে আজকে সিনিয়রদের বাদ দিয়ে ৪৭তম ব্যাচ থেকে ৫৩তম পর্যন্ত যে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে, তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। আমরা শুধু আমাদের একটা পরিচয় চাই। ১৬ বছরের কাজের মূল্যায়ন চাই। আমরা কমিটিতে আসলে হলে থাকব না, হলে থাকতেও চাইও না।
বায়ান্ন/এসএ