ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কালী প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ‘ডাউটিয়া ঠাকুর বাড়ির বংশীয় পরমপরা সর্বজনীন কালী মন্দিরে’ এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এলাকাবাসী মন্দিরের ভাঙা মূর্তি দেখে পুলিশে খবর দেন।
শৈলকুপা থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওই মন্দির পরিদর্শন করে তদন্তে নেমেছে। তারা মন্দির কমিটির সদস্য ও স্থানীয়দের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ডাউটিয়া গ্রামের বড় পুকুরের পাড়ে জমিদারি আমলে প্রতিষ্ঠিত ‘ডাউটিয়া ঠাকুর বাড়ির বংশীয় পরমপরা সর্বজনীন কালী মন্দিরে’ বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে কে বা কারা মূল ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। তারা কালী প্রতিমার চার হাত ও মাথা ভেঙে ফেলেছে।
শুক্রবার সকালে মমতাজ বেগম (৪৫) নামের স্থানীয় এক নারী হাঁটতে বের হয়ে রাস্তায় (মন্দির থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে) কালীর প্রতিমা ভাঙা পড়ে থাকতে দেখে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় লোকজনকে জানান। পরে সভাপতির মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) অমিত কুমার বর্মন, শৈলকুপা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম, ধলহরাচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী সুকুমার মন্ডল বলেন, ‘আমাদের হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ কালী মন্দির ঐতিহ্যবাহী। এখানে প্রতিবছর পূজা দেওয়া হয়। রাতে অন্ধকারে কে বা কারা মন্দিরে প্রবেশ করে কালী প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।’
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘মন্দিরের ভেতর মূর্তি ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। গিয়ে দেখি মন্দিরের কালী মূর্তি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে আমরা স্থানীয় মন্দির কমিটির সঙ্গে আলোচনা করার পর প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’