ঢাকা, শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন: আইসিজি

আহমেদ শাহেদ: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫০:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতন হয় এবং ভারতে পালিয়ে যান তিনি। পরে ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তবে সংস্কার কার্যক্রম সফল করতে রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি বলে মত দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)।

ব্রাসেলসভিত্তিক এই অলাভজনক সংস্থাটি গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে ‘আ নিউ এরা ইন বাংলাদেশ? দ্য ফার্স্ট হানড্রেড ডেজ অব রিফর্ম’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আইসিজি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি সফল করতে রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ বর্তমানে মাঠে সক্রিয় না থাকায় বিএনপি সবচেয়ে বড় বিরোধী শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তবে বিএনপি সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জানিয়েছে, তারা ড. ইউনূস ও তার সহকর্মীদের সংস্কার কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে প্রস্তুত। যদিও বিএনপির কিছু অংশ আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী এবং জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে, তবে দাবির বিষয়ে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে অতীতে যেভাবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কৌশল নিয়েছে, তেমনি দেশের অস্থিতিশীলতা তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে।

আইসিজি আরও উল্লেখ করেছে যে, ছাত্রসমাজ ও সেনাবাহিনী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সমর্থক। গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীরা একটি বড় রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, সেনাবাহিনী শেখ হাসিনার সময়কালে তার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল না। গত ৪ আগস্ট সেনাবাহিনী হাসিনার কারফিউ কার্যকর না করায় তার পতন ত্বরান্বিত হয়।

সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে আছেন। এছাড়া, শেখ হাসিনার পতনের পর ইসলামপন্থি দলগুলোর প্রভাব বেড়েছে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসিনার বিরোধী আন্দোলনে এসব দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো থেকে ইসলামপন্থিদের বাদ দেওয়ার প্রচেষ্টা অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে।

আইসিজি আরও পরামর্শ দিয়েছে, ইসলামপন্থি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি স্থিতিশীল সমাধানের পথে এগোতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক সদস্যও এই বিষয়ে সংস্থার মতের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।