সুদের টাকা না পাওয়ায় ঋণগ্রহীতার ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল সদরের চিলাবাড়ি এলাকার সুদের কারবারি ৫৫ বছর বয়সী সিরাজ ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সদরের কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙাচিরা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদরের চিলাবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৫) এর কাছ থেকে সুদে টাকা নেন রাঙ্গাচিরা গ্রামের ইউসুফ। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ করতে না পারায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় সিরাজুল ইসলাম ঋণগ্রহীতা ইউসুফের ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেন। গত শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন করেন স্থানীয় কাজী আমিরুল ইসলাম। সিরাজের স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া সন্তানও রয়েছে।
রাঙাচিরা গ্রামের ইউপি সদস্য সোলাইমান মন্ডল বলেন, ঘটনাটি আমি পরে জানতে পেরেছি। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানলে এমন ঘটনা ঘটতে দিতাম না। অভাব-অনটনের কারণে এত বেশী বয়সী সিরাজের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেয়ের মা।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইসলামী শরীয়তে কোনো নিষেধ নাই, ৮০ বছরের বুড়াও ১২ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে। তাহলে আমি পারব না কেনো। আমার বড় বউ অসুস্থ থাকে তাই পরিবারের মত নিয়েই প্রস্তাবের মাধ্যমে বিয়ে করেছি। তবে মেয়েটির পরিবারকে সুদের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কাজী আমিরুল ইসলামের বক্তব্য নেয়া যায়নি।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সুদের টাকার জন্য চাপ দিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করা হয়েছে, সে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভাব অনটনের কারণে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছে পরিবার বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। বিষয়টি এখনই জানতে পারলাম, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।