গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নাইম মিয়া (৬) নামের এক শিশু নিখোঁজ হবার ৯দিন পর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুুলিশ। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শিশুকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে ২৫ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন নিহত শিশুর বাবা আনিছুর রহমান। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে শিশুর বাবা আনিছুরকে থানায় আটকে নির্যাতন করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানা তদন্ত অফিসার সেরাজুল হক।
উপজেলার পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের বাসিন্দা নিহত শিশুর বাবা আনিছুর রহমান বলেন, গত ৩ নভেম্বর নাইম বাড়ির উঠানে অন্যান শিশুদের সাথে খেলা করছিল। এসময় নিকটবর্তী ফোরকানিয়া বাজার এলাকায় মারামারির ঘটনা দেখতে গিয়ে নাইম নিখোঁজ হয়। ১২ নভেম্বর প্রতিবেশি মান্নানের ধানখেতে গলিত লাশের দুর্গন্ধের সূত্রধরে নাইমের লাশ শনাক্ত করি আমরা। আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে তার নিজের ও তার ভাই আতাউর রহমানের সাথে পুকুর ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ বাধে প্রতিপক্ষ ফজলুল হকের। প্রতিপক্ষরা তাদের মারপিট করে পুকুরের মাছ ও জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। সেসব বিষয়ে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সেই সূত্র ধরে তারা শিশু নাইম মিয়াকে অপহরণ করে হত্যা করেছে বলে তার মনে করেন।
আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন, লাশ উদ্ধারের পর মামলা দায়ের করতে আমি ও আমার দুই সন্তানসহ স্ত্রী নাজমা বেগম থানায় যাই। থানায় যাবার পর তদন্ত অফিসার সেরাজুল হক রাত ১০টায় একটি কক্ষে আমাকে (আনিছুর) তালাবদ্ধ করে রাখেন। স্ত্রী নাজমা বেগমকে দুই সন্তানসহ অন্য একটি কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। রাত সাড়ে দশটায় আমাকে আটকে রাখা কক্ষে ইন্সপেক্টর সেরাজুল প্রবেশ করে মামলা ভিন্নখাতে নিতে চাপাচাপি করেন। সেরাজুল বলেন যে শান্তিরাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরকার ও আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে। তারা দুজনই আমার জ্যাঠাতো ভাই এবং তাদের প্রতি সন্দেহ না থাকায় আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে রাজি হইনি। এতে সেরাজুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করেন। চোখ বেধে দুই পায়ের পাতা ও ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে লাঠি দিয়ে মারপিট করে জখম করেন। এভাবে রাত ১টা পর্যন্ত নির্যাতনের পর আমি জ্ঞান হারাই। পরে সাদা কাগজে আমার ও আমার স্ত্রীর স্বাক্ষর নিয়ে ১৩ নভেম্বর বিকাল ৫টায় আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরদিন শুনতে পারি অজ্ঞাত আসামী করে সেই কাগজ দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই আমি সুন্দরগঞ্জ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছি (মামলা নং ৫৬৪/২২)।
সুন্দরগঞ্জ থানার তদন্ত অফিসার সেরাজুল হক বলেন, আনিছুরের অভিযোগ মিথ্যা। তাকে আটকে রাখা বা মারধোরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। এরকম ঘটনা ঘটানোর কোন সুযোগ নেই।
উপজেলার পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের বাসিন্দা নিহত শিশুর বাবা আনিছুর রহমান বলেন, গত ৩ নভেম্বর নাইম বাড়ির উঠানে অন্যান শিশুদের সাথে খেলা করছিল। এসময় নিকটবর্তী ফোরকানিয়া বাজার এলাকায় মারামারির ঘটনা দেখতে গিয়ে নাইম নিখোঁজ হয়। ১২ নভেম্বর প্রতিবেশি মান্নানের ধানখেতে গলিত লাশের দুর্গন্ধের সূত্রধরে নাইমের লাশ শনাক্ত করি আমরা। আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে তার নিজের ও তার ভাই আতাউর রহমানের সাথে পুকুর ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ বাধে প্রতিপক্ষ ফজলুল হকের। প্রতিপক্ষরা তাদের মারপিট করে পুকুরের মাছ ও জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। সেসব বিষয়ে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সেই সূত্র ধরে তারা শিশু নাইম মিয়াকে অপহরণ করে হত্যা করেছে বলে তার মনে করেন।
আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন, লাশ উদ্ধারের পর মামলা দায়ের করতে আমি ও আমার দুই সন্তানসহ স্ত্রী নাজমা বেগম থানায় যাই। থানায় যাবার পর তদন্ত অফিসার সেরাজুল হক রাত ১০টায় একটি কক্ষে আমাকে (আনিছুর) তালাবদ্ধ করে রাখেন। স্ত্রী নাজমা বেগমকে দুই সন্তানসহ অন্য একটি কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। রাত সাড়ে দশটায় আমাকে আটকে রাখা কক্ষে ইন্সপেক্টর সেরাজুল প্রবেশ করে মামলা ভিন্নখাতে নিতে চাপাচাপি করেন। সেরাজুল বলেন যে শান্তিরাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরকার ও আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে। তারা দুজনই আমার জ্যাঠাতো ভাই এবং তাদের প্রতি সন্দেহ না থাকায় আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে রাজি হইনি। এতে সেরাজুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করেন। চোখ বেধে দুই পায়ের পাতা ও ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে লাঠি দিয়ে মারপিট করে জখম করেন। এভাবে রাত ১টা পর্যন্ত নির্যাতনের পর আমি জ্ঞান হারাই। পরে সাদা কাগজে আমার ও আমার স্ত্রীর স্বাক্ষর নিয়ে ১৩ নভেম্বর বিকাল ৫টায় আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরদিন শুনতে পারি অজ্ঞাত আসামী করে সেই কাগজ দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই আমি সুন্দরগঞ্জ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছি (মামলা নং ৫৬৪/২২)।
সুন্দরগঞ্জ থানার তদন্ত অফিসার সেরাজুল হক বলেন, আনিছুরের অভিযোগ মিথ্যা। তাকে আটকে রাখা বা মারধোরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। এরকম ঘটনা ঘটানোর কোন সুযোগ নেই।