গাজীপুরে আন্দোলনরত বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকেরা টানা সপ্তম দিনের মতো আন্দোলন করলে মহাসড়ক অচল হয়ে পড়ে, মহাসড়কের দু'পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি হলে পরিস্থিতি অবনতি দিকে যেতে থাকে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্বাসে চন্দ্রা- নবীনগর মহাসড়ক ছেড়ে দিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকেরা।
জানা যায়, শ্রমিকরা অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্দোলন চরমে পৌঁছালে মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে রোববারের মধ্যে বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে দেন।
বিল্লাল হোসেন নামের এক শ্রমিক বলেন, অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে আমরা আন্দোলনে নামি। আজ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রোববারের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেয়ে মহাসড়ক ছেড়েছি। তবে, রোববারের মধ্যে বেতন না পেলে বেক্সিমকো গ্রুপের সব ইউনিটের শ্রমিকরা আবার আন্দোলনে নামবে। তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে বেশকিছু শ্রমিকের ফোনে বেতন প্রাপ্তির খুদেবার্তা এসেছে। এতে কিছুটা আশ্বস্ত হলেও সবার বেতন দ্রুত দেওয়ার বিষয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ আশা করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মহাসড়কের পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, আন্দোলনকারীদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়িত না হলে পরিস্থিতি আবারো অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, মহাসড়ক অবরোধের ফলে যানজট সৃষ্টি হয়, যার ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। বিশেষ করে পণ্যবাহী যান ও যাত্রীরা কয়েকঘণ্টা আটকে ছিলেন। শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের বিষয়টি সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরো সংকটময় হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।