খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, বিগত ১৬ বছরের দুঃশাসনের বিচার নিশ্চিত, ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকানো এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করে কাক্সিক্ষত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আজকে জাতীয় ঐক্য জরুরি।
তিনি বলেন, মানব মুক্তির শ্বাশত আদর্শ-খেলাফত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সমাজিক সুবিচার নিশ্চিত করা ও চলমান রাষ্ট্র সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য সুসংহত করার লক্ষ্যে আগামী ২৮ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশন আনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। ২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে জাতীর সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে চাই আমরা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ফায়েনাজ টাওয়ারে আমীরে মজলিসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব।
ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, খেলাফত মজলিসের এ তৃণমূল কাউন্সিল সফলে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষের দিকে। ইতিমধ্যেই জাতীয় নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট উলামায়ে কেরাম, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র প্রতিনিধিবৃন্দকে অধিবেশনের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। সবাই আন্তরিকভাবে খেলাফত মজলিসের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, খেলাফত মজলিস মনে করে মানুষের প্রকৃত কল্যাণ ও মুক্তির পথ হচ্ছে ‘ইসলাম’। খোলাফায়ে রাশেদীনের আদর্শের আলোকে যদি আমরা ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে সাজাতে পারি তাহলেই দেশ ও জনগণের কল্যাণ ও মুক্তি অর্জন সম্ভব।
ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসাইন, মনসুরুল আলম মনসুর, বিলাল আহমদ চৌধুরী, জামিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে