সম্প্রতি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন মহাদান ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে হামলায় ১ ব্যক্তি আহত হন। আহত ব্যক্তিকে সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। অতঃপর এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানায় আহত ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষও পাল্টা আরেকটি মামলা করেছে। পুলিশ উভয় মামলার তদন্ত করেছে। স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ওই মসজিদে জামাল উদ্দিন নামে এক হাফেজ প্রায় দুই যুগ ধরে ইমামতি করে আসছেন। ইদানিং মহল্লার মুসল্লীরা তার বিরুদ্ধে কবিরাজীর মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ তুলেন। ফলে মুসল্লীদের মধ্য থেকে তারা বিএসসি, সুজল মিয়া ও সাইফুল ওই হাফেজকে ইমাম হিসেবে রাখতে নারাজ। পক্ষান্তরে মুসল্লীদের একাংশের আলাউদ্দিন ও তার অনুসারীরা ওই হাফেজকেই ইমাম হিসেবে রাখতে মরিয়া। এ নিয়ে মাস খানেক ধরে কথা চালাচালি চলছিল। গত শুক্রবার সকালে ওই হাফেজ সাহেব মসজিদের কালেকশন করতেছিলেন। হঠাৎ তারা বিএসসি, সুজল মিয়া ও সাইফুলের পক্ষের লোকজন মসজিদ ঘরে ঢুকে হাফেজ সাহেবকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় হাফেজ সাহেব মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে, তাকে কতিপয় লোক আক্রমণ করেছে। এ ঘোষণায় লোকজন এগিয়ে এসে হাফেজ সাহেবকে উদ্ধার করে। অতঃপর হাফেজ সাহেব বাড়ি চলে যান। এ খবরে মহল্লার মুসল্লীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে। এর জেরে জুম্মার নামাজের পর আলাউদ্দিনের পক্ষের এক লোক তারা বিএসসির মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে রোববার সরিষাবাড়ী থানায় ৭ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। প্রতিপক্ষও মঙ্গলবার পাল্টা আরেকটি মামলা করেছে। বুধবার পুলিশ উভয় মামলার তদন্তে সরেজমিন পরিদর্শন করেছে।