এবারের বিপিএলে যেখানে ১৯০ এর অধিক রানও নিরাপদ নয়। সেখানে লক্ষ্য মাত্র ১৩১ রান। চলতি বিপিএলে এই রান তাড়া যেন ডালভাতের মতো। সেখানে মাত্র এই ১৩০ রানই যেন বিশাল বর্ম বানিয়ে ফেলেছিল খুলনা টাইগার্স। এই রান তাড়া করতে রংপুর রাইডার্সের ঘাম ঝরে গেছে এই শীতের রাতেও।
অবশেষে শেষ ওভারে মাত্র ৩ বল আগে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে খুলনাকে টানা তিন হারের তিক্ত স্বাদ দিলো রংপুর। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এদিন টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে রংপুরের ত্রাতা হয়েছেন শোয়েব মালিক এবং শামীম পাটওয়ারি।
শোয়েব এবারের আসরে বরাবরই রংপুরের ত্রাতা হিসেবে আছেন। আজও যখন বাকি ব্যাটসম্যানরা রান পেতে সংগ্রাম করছিলেন, বল ডট দিচ্ছিলেন; সেখানে এক প্রান্তে শোয়েব ৩৬ বলে ৪৪ রান করে দলের জয়ে বিরাট অবদান রাখেন। তবে আলাদা করে বলতে হবে শামীম পাটওয়ারির কথা।
অফ ফর্মের জন্য এবারের আসরের শুরুর দুই ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি। অবশেষে তিন ম্যাচের সময় এসে দলে সুযোগ পেলেন। আর পাওয়া সুযোগ দারুণ ভাবে কাজে লাগালেন এই ক্রিকেটার। শেষ তিন ওভারে যখন ৩০ রানের বেশি লাগে, ঠিক তখনই টানা তিন চারে ১০ বলে অপরাজিত ১৬ রান করে খেলা রংপুরের দিকে টেনে আনেন শামীম। রংপুরের পক্ষে এছাড়া রান করেন নাঈম শেখ। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। খুলনার সাইফউদ্দীন, ওয়াহাব রিয়াজ এবং নাসুম আহমেদ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে খুলনা প্রথম থেকেই উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল। দলটির তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল মাত্র ১ রান করে ফিরতেই ভাঙন শুরু হয় খুলনার। এরপর পাওয়ারপ্লের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। পাওয়ারপ্লেতে খুলনা করতে পারে মাত্র ২৪ রান।
৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে খুলনা যখন বিপদে সেখান থেকে সাইফউদ্দীন এবং নাহিদুলের ব্যাটে শতক পেরিয়ে সম্মানজনক পুঁজি দাঁড় করায় দলটি। সাইফউদ্দীন করেন ২২ এবং নাহিদুল করেন ১৫ রান।
রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়েছেন রবিউল হক। এই পেসার ৪ ওভার বোলিং করে রান দেন মাত্র ২২। এই পেসার ছাড়া রাকিবুল, আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং হাসান মাহমুদ নেন ২টি করে উইকেট।