২৩০.১৮ বর্গ কিলোমিটারের ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা। এখানে অর্ধ শতাধিক মাঠ ও বিলের ফসল, কৃষি সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার জন্য ঘোড়ারগাড়ী সমাদৃত হচ্ছে। অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটা শুরু হলে এখানে মাঠের ফসল আনার জন্য ঘোড়ার গাড়িই প্রধান বাহন।
ষাটের দশকের শিল্পী ফেরদৌসী রহমানের গাওয়া ওকি গাড়িয়াল ভাই কত রব আমি পন্থের দিকে চাইয়ারে...৷ এ গানটির মতোই গরুর গাড়ির গাড়িয়ালদের ভাটা পরেছে।
কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় গরুর গাড়ি তেমন একটা দেখা যায় না, আধুনিকতার এ যুগে গত এক দশকে অনেকটা ঘোড়ার গাড়ির গাড়িয়াল ভাইয়েরা। একটি ঘোড়া দিয়েই গাড়ি চালানো যায়। ঘোড়ার দামও কম, যত্রতত্র লালন পালন করা যায়, সুবিধাও বেশ ভালো। এজন্য ঘোড়ার গাড়ির গাড়িয়ালের সংখ্যা বারছে। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরাও ফসল ও কৃষি সরঞ্জাম পরিবহন করতে পারছে।
এ বিষয়ে কৃষক আবু জাফর মন্ডল জানান, ফসল তোলার পর ক্ষেত থেকে ফসল বাড়িতে আনা যাচ্ছে খরচ ও তুলনামূলক কম।
ঘোরার গাড়ির গাড়িয়াল ওয়াদুদ মোল্লা, বেন্জু মন্ডল, টিটন মোল্লা, ফরিদ সেখ বলেন, আমরা দুরত্ব অনুযায়ী প্রতি ট্রিপে ৩০০/৪০০ টাকা নিই।
প্রতিদিন ২৫০০/৩০০০ টাকা রোজকার করি। শুধু আমরাই নই এলাকায় অনেক গাড়িয়াল ভাই আছে। এছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলা থেকে এ মৌসুমে অনেক ঘোড়ার গাড়ি এসেছে, অগ্রাহায়নের শুরু থেকে আমন ধান কাটা শুরু আর এই একমাস ব্যাপি বিরামহীন ভাবে চলবে ঘোড়ারগাড়ি।
প্রতিজন গাড়িয়াল লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করবে এমনটিই আশা করছেন তারা।
মৌসুমি সব ফসল যেমন আখ, পিঁয়াজ, গম, সরিষা সহ নানা রকম ফসল পরিবহনের জন্যও ঘোড়ার গাড়ির চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহাবুব ইলাহী বলেন, ঘোড়ারগাড়ি কৃষি সরঞ্জাম ও ফসল পরিবহনের জন্য খুবইগুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। পরিবেশ বান্ধব, জ্বালানী খরচ না হওয়ায় কৃষকও স্বাচ্ছন্দবোধ করছে।
বায়ান্ন/একে