মাছ চাষের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে জুড়ীর একদল মাছ চাষি শ্রীমঙ্গল সফর করেছেন।
জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের আয়োজনে মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাস্তবায়নে কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ এন্ড আ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্যারাগন মৎস্য খামারে এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় জুড়ী উপজেলার সিবিও এর ২০ জন নারী পুরুষ মাছ চাষি এই অভিজ্ঞতা বিনিময়ে অংশ নিতে প্যারাগন মৎস্য খামারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে দিনব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য অফিসার মো. শাহনেওয়াজ সিরাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রীমঙ্গল সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারাজুল কবির, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর জিয়াউল হক।
জুড়ীর সিবিও সদস্যগণকে প্যারাগন মৎস্য খামারের কর্তৃপক্ষ তাদের বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন। সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করে সদস্যবৃন্দ অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হন এবং তারা নিজেরাও ভবিষ্যতে সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. শাহনেওয়াজ সিরাজী বলেন, ‘আমরা ২০ জন মৎস্যচাষিদের নিয়ে মাছ চাষের অভিজ্ঞতার জন্য নিয়ে এসেছি। এ ধরনের অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর করে মৎস্যচাষিরা খুব উপকৃত হবেন পাশাপাশি এই খামার দেখে মাছ চাষিরা মাছ চাষ করতে আরও আগ্রহী হবে।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. ফারাজুল কবির বলেন, ‘জুড়ীর মাছ চাষের জন্য ২০ জন নারী ও পুরুষ মিলে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে যোগ দেন। চাষি তার নিজ খামারে রুই জাতীয় মাছের চাষ, তেলাপিয়া, হ্যাচারি-নার্সারি বিষয়ে আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছেন। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে মাছ চাষে ভবিষ্যতে তাদের অনেক সফলতা আসবে।
মাছ চাষি মো. আ. সামাদ বলেন, আজ শ্রীমঙ্গলের প্যারাগন মৎস্য খামার দেখে ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা চাই জুড়ীর মানুষ এরকম খামার করে স্বাবলম্বী হোক। এ ধরনের অনুষ্ঠানের কারণে আমরা মাছ চাষিরা অনেক খুশি।