ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আবার ইফতারে সেজেছে ঠাকুরগাঁওয়ে হোটেল রেস্তোরা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল ২০২২ ০৫:০৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
আবার ইফতারে সেজেছে ঠাকুরগাঁওয়ের হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো। বন্ধ ঘোষণার ৩৬ ঘন্টা পর খুলেছে বন্ধ হওয়া সকল প্রকার খাবারের দোকান। এতে জেলাজুড়ে ফিরেছে স্বস্তি। 
 
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলার হোটেল রেস্তোরাঁ গুলোতে ইফতারি কেনার প্রচুর ভীড় লক্ষকরা গেছে। সকাল থেকে রমজানের অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি ভীড় লক্ষ করা গেছে। 
 
হোটেলে খেতে আসা গ্রাহকেরা বলছেন, অনেকে হোটেলেই সেহেরি খায়। আগেরদিন ধর্মঘটের কারনে অনেকে রোজারাখতে পারেননি। তাই হয়তো আজকে হোটেলে বেশি ভীড় হয়েছে। তবে সবশেষে হোটেল খুলেছে, তাই হোটেলের খাবারে নির্ভরশীলদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। 
 
বগুড়া থেকে আসা কাঁচামাল ব্যবসায়ী রাজ্জাক বলেন, সেহেরির সময় খাবারের অভাবে আমার রোজা মিস হয়ে গেছে। আমার মতো অনেকেই এমন ঝামেলার শিকার। ঝামেলা মিটিয়ে হোটেল খুলেছে তাই স্বস্তি ফিরে পেয়েছি।
 
অসুস্থ ভাইকে নিয়ে পাশের উপজেলা থেকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আঃ জব্বার বলেন, হাসপাতালে কোনো ক্যান্টিন নেই। এখানে সেহেরির সময় খাবারো দেয়না। রুগী নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করা আমার মতো প্রায় ৪০০ স্বজন সেহেরীর জন্যে হোটেলের উপরে নির্ভরশীল। ধর্মঘটের কারনে সকলেই সমস্যায় পরেছিলো। আমি রোজা রাখতে পারিনি। হোটেল খোলার আগে শুধু চিড়ামুড়ি খেয়ে সময় পারকরেছে আমার মতো অনেকেই। 
 
এর আগে সমস্যা সমাধানে বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও- ১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের সাথে বৈঠকে বসে ঠাকুরগাঁও হোটেল মালিক সমিতি ও শ্রমীক ইউনিয়ন। সাজাপ্রাপ্ত শ্রমিকদের নি:শর্ত মুক্তিতে আইনি লড়াইয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এমপি রমেশ চন্দ্র সেন । তাঁর আশ্বাসে হোটেল শ্রমীকরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান ঠাকুরগাঁও হোটেল শ্রমীক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদিন।
 
উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবার নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩' এর অধীন 'বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত' পরিচালনা করেন ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার। উক্ত আইনের তফসিল এ বর্নিত ৩৪ ধারায় অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় শহরের চৌরাস্তার হোটেল গাওসিয়া ও হোটেল  রোজ এর ম্যানেজার -দ্বয়ের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড আরোপ করা হয়। দুইটি হোটেলে ৩ লক্ষ করে ৬ লক্ষটাকা জরিমানা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতেই কর্মবিরতি ঘোষনা করে জেলার সকল হোটেল,রেস্তোরাঁ ও বেকারি শ্রমিকরা। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মালিক সমিতিও হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।