ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আমু-কামরুলকে ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতার দেখানো হলো

এম এম লিংকন | প্রকাশের সময় : বুধবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:০১:০০ অপরাহ্ন | আইন-আদালত

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক দুই মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের আবেদনে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে আবেদনের শুনানি করেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ ও গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম।

গাজী এম এইচ তামিম গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে সাবেক এই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে তাদের আদালতে তোলা হয় ও নিউমার্কেট এলাকার একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে ২ ডিসেম্বর তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলার জন্য আমরা আবেদন করি। আদালত তা মঞ্জুর করে আজকের দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাদের অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে হাজির করানো হবে।

পলাতক থাকা আসামিদের বিষয়ে এম এইচ তামিম বলেন, ট্রাইব্যুনাল থেকে এরইমধ্যে ৭০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেও সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অল্প কয়েকজন ব্যক্তিকেই গ্রেপ্তার করা গেছে। বাকিরা পলাতক থাকার মাধ্যমে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ থাকবে, দ্রুত বাকি ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা।

জানা যায়, ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকশো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। 

এরইমধ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক সচিবকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আর সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম উত্তরায় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হন গত ১৮ নভেম্বর।