বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান বলেছেন, যোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশকে অনেকদূর নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এক্সপোর্ট করছি। এটি ঠিক যে, আমাদের এক্সপোর্ট ছাড়া কোনো উপায় নাই।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে ছয় দিনব্যাপী চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফার্নিচার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি এক্সপোর্ট বিষয়ে জানতে ঢাকায় গিয়ে ফ্যাক্টরি ভিজিট করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব মো. ইলিয়াছ সরকার বলেন, এখানে দেখছি, সাবেক ও বর্তমান সভাপতি একসঙ্গে বসেছেন। এ চিত্র দেখে বোঝা যায় আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো। মেলার প্রোডাক্ট দেখে একটা কথা বলতে পারি, প্রোডাক্ট ডিজাইনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। একসঙ্গে থাকার সুফল এটি। আশা করবো, দেশের অন্যান্য কমিটিও চট্টগ্রামকে অনুসরণ করবেন।
অনুষ্ঠানে ফার্নিচার ব্যবসার অন্যতম পথিকৃৎ খ্যাত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এএসএম নুরউদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামে এবার ১৪ তম ফার্নিচার মেলার আয়োজন হচ্ছে। এর আগের ২০০৬ সাল থেকে ১৩টি মেলায় আমি সভাপতিত্ব করেছি। আমি গর্বিত। কারণ আমি মানুষ তৈরি করতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে ফার্নিচার ব্যবসা আরও গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ও ব্যবসায়িদের সহযোগিতা কামনা করেছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়িরা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক মো. মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এ করিম মজুমদার, অর্থ সম্পাদক মোল্লা ছদর উদ্দিন পিটু, এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আতিফ দেওয়ান, চিটাগাং ইভেন্টস-এর চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি এবং কেন্দ্রিয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এএসএম নুরউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন চৌধুরী দুলাল, এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আতিফ দেওয়ান।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সদস্য আল মো. ইকবাল, মো. জসীম, মো. ইয়াসিন, মো. সুমন, এএসএম নাসির প্রমুখ।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএ